বাসন্তী হাইওয়ে থেকে রহস্যজনক ভাবে উধাও গৃহবধূ, তদন্তে পুলিশ
বসিরহাট মহকুমার মিনাখাঁ থানার বামনপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কলকাতা থেকে বাসন্তী গামী রাজ্য সড়ক ৩এ এর বামনপুকুর গ্রামের ঘটনা। রহস্যজনক ভাবে উধাও গৃহবধূ। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় ন্যাজাট থানার খড়িয়াহাট গ্রামের বাসিন্দা অশোক পরনের একমাত্র কন্যা ২০ বছরের অনামিকার সঙ্গে মিনাখাঁ থানার বামনপুকুর গ্রামের বাসিন্দা মদন মণ্ডলের একমাত্র পুত্রের সঙ্গে বিবাহ হয় দুই বছর আগে। তারপর তাদের একটি পুত্র সন্তান হয় ১ বছরের চয়ন মণ্ডল।

জানা যায়, অনামিকা মন্ডল গৃহবধূ তার সন্তানকে নিয়ে এদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরোয় মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর নাম করে। তারপর থেকে রহস্যজনক ভাবে দিনে দুপুরে বাসন্তী হাইওয়ে থেকে উধাও হয়ে যায় অনামিকা। ওই গৃহবধূ যখন বাড়ি ফেরেননি তখন মিনাখাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্বামি ২৫ বছরের অমরেশ মন্ডল সহ বাপের বাড়ি এবং শ্বশুর বাড়ির পরিবারের লোকজন। তারপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে মিনাখাঁ থানার পুলিশ।
তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে ওই বধূ সেদিন মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে যাননি। এমনকি হাসপাতালের রেজিস্টার খাতাতেও বধূর নাম পাওয়া যায় না। অর্থাৎ কিভাবে উধাও হলো তদন্তকারী আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করে। এবং জানতে পারে এলাকারই ২৮ বছরের বিশ্বজিৎ পাত্র যুবক সেদিন থেকে পলাতক ছিল। সন্দেহ হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিশ্বজিতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তারপরেও তিনি হাজির হননি থানাতে। তারপর থেকে তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্রে জানায়, এলাকার যুবক বিশ্বজিৎ পাত্র নিয়মিত যাতায়াত করতেন ঐ বধূর বাড়ি। নিখোঁজ মহিলার ননদ বিউটি দাস জানাচ্ছেন তাদের বৌদি খুবই ভালো ছিল এবং পরিবারের সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলত তার পরেও কেন এই ঘটনা উঠছে প্রশ্ন। ওই বধূর নিখোঁজে্য পিছনে কোন অন্য পাচার চক্র কাজ করছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই গৃহবধূকে কোথাও বিক্রি করেছে কিনা অথবা ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মেখলিগঞ্জের প্রাক্তন ছিটমহলবাসীদের ফ্ল্যাট দেবে সরকার, হল লটারি!