ভূমিকম্পও হার মানাবে হঠাৎ ঝাঁকুনির বীভৎসতায়, হুড়মুড়িয়ে ভাঙল বাড়ি, এলাকায় ফাটল
ভূমিকম্পের থেকেও কোনও অংশ কম নয় এই ঝাঁকুনি। শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুরসভার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গা পাথুরি লেন এভাবেই কেঁপে উঠেছিল।
ভূমিকম্পের থেকেও কোনও অংশ কম নয় এই ঝাঁকুনি। শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুরসভার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গা পাথুরি লেন এভাবেই কেঁপে উঠেছিল। আর সঙ্গে সঙ্গেই বউবাজার থানা এলাকার প্রায় সব বাড়িতেই বিশাল বিশাল ফাটল দেখা দলি। অনেক বাড়িও ভেঙে পড়েছে পরপর। রবিবারও জারি সেই ধ্বংসলীলা।
বিশেষজ্ঞ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধ্বংসলীলার নেপথ্যে রয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। মেট্রোর ভূ-গর্ভস্থ অংশের কাজের জন্যই এই বিপত্তি হয়েছে। এর ফলে আতঙ্কের প্রহর কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। ১০-১২টি বাড়ির এমনই অবস্থা যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পরতে পারে পুরোটাই। এই সমস্ত বাডি়র বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিধায়ক-সাংসদরা উপস্থিত থেকে, প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতি উদ্ধারকাজ চলছে। এলাকা ফাঁকা করার কাজ চালাচ্ছে পুলিশ। স্থানীয় হোটেল, লজে তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে আপাতত। মেট্রোর আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে গিয়ে খতিয়ে দেখছেন পরিস্থিতি। কী কারণে এমনটা হল, তা বের করাই এখন আশু কর্তব্য।
এলাকায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। দেওয়ালে মেঝেতে বড় বড় ফাটল। সাধের বাড়ি ঘর ভেঙে তছনছ। রাস্তায় বিস্তার ফাটল দেখা দিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের হিমসিম অবস্থা। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জমাট বেঁধেছে। কোনও নোটিশ ছাড়াই মেট্রোর কাজ শুরু করা হয়েছে। কাজের জন্য যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, এমন কোনও আভাস দেওয়া হয়নি। মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে চাইছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
[আরও পড়ুন:তিনদিন তিনরাত মাঝ সমুদ্রে জীবন বাজি রেখে প্রাণে বাঁচল কিশোর, রোমাঞ্চকর সে কাহিনি]
[আরও পড়ুন:অধ্যাপনার যোগ্যতা যাচাই করতে প্রবীণ ইতিহাসবিদের সিভি চাইল জেএনইউ]