জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য মালদায় ভাঙা হল বাড়ি!
জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য মালদায় ভাঙা হল বাড়ি!
মালদা জেলায় দু'বছর আগে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। মালদার রতুয়া-১ ব্লকের সামসি পঞ্চায়েতের ধরমকাঁটা এলাকায়। বেশ কিছু ফসলের জমি নিয়ে। কিন্তু সমস্যা না থাকার ফলে বসতবাড়ি সরিয়ে ফেলার ব্যাপারে সমস্যা তৈরি করেছিল বাসিন্দারা। তাদের দাবি ছিল ক্ষতিপূরণের। এরপর জলপাইগুড়ি ডিভিশনের আরবিট্রেশন, মালদা জেলা আদালত, কলকাতা হাইকোর্ট, এমনকি সুপ্রিম কোর্টেও মামলা দায়ের করে এলাকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, জমি ও বাড়ির বিনিময়ে যে টাকা পাওয়া উচিত ছিল তার থেকে অনেক কম টাকা তাদের দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য অনেকেই নতুন জায়গায় বাড়িঘর স্থানান্তরিত করে চলে গিয়েছেন। কিন্তু ব্যবসায়িক স্থল, গুদামঘর, ছেড়ে অনেকেই যেতে চাইছিল না বলে অভিযোগ।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মালদা সাবডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার তিমির বরণ সাহার উপস্থিতিতে শুরু হয় জেসিবির মাধ্যমে বড় বড় পাকা বাড়ি ভেঙে ফেলার কাজ। এই প্রসঙ্গে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষর মালদা সাবডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার তিমির বরণ সাহা জানান, দু'বছর আগে জমিগুলো অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জমির মালিকেরা ক্ষতিপূরনও পেয়ে গিয়েছে। এরপরও তারা জায়গাা খালি করছিলেন না। তাদেরকে ছয় মাস আগে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছারাও দুই সপ্তাহ আগেও বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাইকিং প্রচার করা হয়েছে। তাতেও কোনো তারা উত্তর দেয়নি। এরফলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এই বাড়ীঘরগুলো ভেঙ্গে ফেলছে।
বাড়িঘর যাদের ভেঙে ফেলা হয়েছে তাদের অভিযোগ, আমরা জমির ন্যায্যমূল্য পাইনি। বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে সময় চেয়েছিলাম। এই ঘটনার জন্য মামলাও চলছে। তবুও আমাদের কোন কিছু না জানিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ আমাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলেছে। হঠাৎ এই ধরনের ঘটনাটি ঘটে। মালপত্র নিয়ে কোথায় যাব।
সিদ্ধার্থ রায় নামে আর এক ব্যবসায়ী জানান, আমার বাণিজ্যিক ভবনের পরিবর্তে টাকা পেয়েছি বটে তবে ব্যবসা করার জন্য উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পাইনি। সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেছি। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই সব ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলো। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণ এবং বাইপাস দিয়ে রাস্তাটি তৈরি হওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবস্থার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন হবে। কোটি কোটি টাকা পেয়েও যারা এখনো বাড়ি ঘর ছাড়ছেন না, তাদের উচিত ছিল অনেক আগেই বাড়িঘর ভেঙ্গে অন্যত্র জায়গা চলে যাওয়া। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সঠিক কাজই করেছেন। এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।