পর্যটকদের দেখা নেই, তাও প্রশাসন ও জিটিএ-র চাপে দার্জিলিংয়ে হোটেল খুলতে বাধ্য হলেন মালিকরা
দার্জিলিঙের হোটেল মালিকদের সঙ্গে কর্মচারীদের বিরোধ অনেক দিন ধরেই ৷ এবার সেই বরফ খানিকটা হলেও গলতে চলেছে৷ আজ থেকে প্রায় সমস্ত হোটেল খুলে যাচ্ছে দার্জিলিঙে। কর্মীদের বেতন ইস্যুতে কয়েকদিন আগে দার্জিলিঙের হোটেল মালিক সংগঠনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বেতন ৩৫ শতাংশ দিয়ে জুলাই থেকে হোটেল বন্ধ রাখা হবে। প্রশাসন ও জিটিএর চাপে রাজি হয়ে আজ, মঙ্গলবার থেকে দার্জিলিংয়ে হোটেল খুলে দিতে সম্মত হোটেল মালিকরা। তবে পর্যটকরা পাহাড়ে বেড়াতে যেতে পারবে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়।
মালিক পক্ষের দাবি
মালিক পক্ষের দাবি ছিল, এছাড়া কোনও পথ নেই। হোটেলমালিকদের এই সিদ্ধান্তের জেরে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধে। হোটেল শ্রমিক সংগঠন ও জিএনএলএফ-সহ অন্য সংগঠন মালিকদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে । আদালতে মামলা করার হুমকিও দেওয়া হয়।
লকডাউনে পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে
লকডাউনে পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। আর এই পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হোটেল ব্যবসাও ধুঁকছে। নেই পর্যটক, নেই আয়ও। এই অবস্থায় হোটেলকর্মীদের বেতন দেওয়া প্রায় অসম্ভব। বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন থেকেই চাপানউতোর চলছে পাহাড়ে। দার্জিলিঙের হোটেলমালিকদের সংগঠনের সভাপতি সাঙ্গে ভুটিয়া বলেন, 'সরকার এবং জিটিএ-এর নির্দেশিকা মেনে চলবেন তাঁরা।'
আলোচনার পর সুর নরম করে হোটেল মালিকরা
সংগঠনের সম্পাদক বিমল খান্না কয়েক দিন আগেই বলেছিলেন, জুলাই মাস থেকে হোটেল বন্ধ রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।' তবে, আশার বিষয় যে, এখন ওই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন তাঁরা। জানা গেছে, সোমবার জিটিএ এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর সুর নরম করে হোটেল মালিকরা।
জিটিএ চেয়ারম্যানের বক্তব্য
জিটিএ চেয়ারম্যান অনিত থাপা বলেন, 'দার্জিলিং পাহাড় পর্যটন ব্যবসার উপর দাঁড়িয়ে। ফলে হোটেল শিল্পকে বাঁচাতে সমন্বয় রেখে কাজ করতে চাইছেন তাঁরা। এজন্য এক সপ্তাহের মধ্যে একটি এক্সপার্ট কমিটি গঠন করা হবে। হোটেলকর্মীরাও যাতে বেতন পান এবং হোটেলও যাতে বন্ধ করতে না হয় দিকেই নজর থাকবে ওই কমিটির।'