মৃত রোগী ভেন্টিলেশনে! বিল বাড়াতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে
মৃত রোগীকে ভেন্টিলেশনে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রোগীর মৃত্যুর পরও বিল বাড়াতেই ষড়যন্ত্র করে ভেন্টিলেশনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরদেহ।
কোচবিহার, ২৫ মার্চ : মৃত রোগীকে ভেন্টিলেশনে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রোগীর মৃত্যুর পরও বিল বাড়াতেই ষড়যন্ত্র করে ভেন্টিলেশনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরদেহ। এই ঘটনায় উত্তজনা ছড়িয়ে পড়ে কোচবিহারের মিশন হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরও বিল বাড়ানোর ভয়ানক রোগ সারেনি হাসপাতালগুলির। আবারও তা প্রমাণিত হল।[হাসপাতাল শাসনে মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত কমিশনের নেতৃত্বে বিচারপতি অসীমকুমার রায়]
অনিল কার্জি নামে এক রোগী কোচবিহার মিশনারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কয়েকদিন আগে। সেরে উঠেছিলেন চিকিৎসায়। তাঁকে ডিসচার্জকরার দিনেই ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিবারের লোককে না জানিয়েই ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় রোগীকে। খানিক বাদেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।['আগে চিকিৎসা, পরে টাকা', বেসরকারি হাসপাতালকে ফের বার্তা দিলেন মমতা]
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ভেন্টিলেশনে দেওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছিল রোগীর। কখন অবনতি হল, কী কারণে ডিসচার্জের আগেই শারীরিক অবস্থার অবনতি, এ ব্যাপারে কিছুই জানায়নি হাসপাতাল। তাঁদের না জানিয়েই ভেন্টিলেশন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বিল বাড়ানোর অভিসন্ধিতেই এই কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ ওঠে চিকিৎসায় গাফিলতিরও।[হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর পা কেটে বাদ! চিকিৎসা গাফিলতিতে ফের রোগী মৃত্যু শহরের হাসপাতালে]
অভিযুক্তি চিকিৎসকের দাবি, কোনও গাফিলতি হয়নি। একটা মিস কমিউনিকেশন ঘটেছে। চিকিৎসক বলেন, আমি ভেবেছিলাম পরিবারের কেউ উপস্থিত নেই। কিন্তু ওঁরা যে নিচে ছিলেন, তা বুঝতে পারিনি বলেই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতির বিষয়টি জানানো সম্ভব হয়নি।[সঞ্জয় রায়ের মৃত্যু : অ্যাপোলোর দুই শীর্ষকর্তাকে গভীর রাত পর্যন্ত জেরা, ফের তলব]