ভদ্রেশ্বরে নেতা খুনে দায়ী সিপিএম-বিজেপি, দাবি শাসকদলের, ঘটনায় গ্রেফতার ১
জনপ্রিয় নেতা খুনের পর দলের তরফে কারণ খুঁজতে শুরু করেছে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। খুনের পিছনে সিপিএম এবং বিজেপি রয়েছে বলে দাবি। নেতা খুনে পুলিশকেও দোষারোপ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জনপ্রিয় নেতা খুনের পর দলের তরফে কারণ খুঁজতে শুরু করেছে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। খুনের পিছনে সিপিএম এবং বিজেপি রয়েছে বলে দাবি। নেতা খুনে পুলিশকেও দোষারোপ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং খুনের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞ়াসাবাদ চলছে।
[আরও পড়ুন: ভদ্রেশ্বরে খুন নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির দোষারোপের পালা, বিস্তারিত জেনে নিন]
[আরও পড়ুন: বাড়ি ফেরার পথে গুলিতে খুন ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান]
ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান মনোজ উপাধ্যায়। জেলা তৃণমূলের একাংশের দাবি, সৎ এই নেতার জন্য এলাকায় তোলাবাজি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। অসৎপথে কন্ট্রাক্টারির কাজও আটকে যায় এই নেতার তৎপরতাতেই। তোলাবাজি আর কন্ট্রাক্টারি নিয়ে এলাকায় বহু দিনের দ্বন্দ্বও ছিল বলে সূত্রের খবর।
জেলা টিএমসিপি নেতা চিন্টু দূবের মোটর বাইকে স্থানীয় একটি ক্লাব থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মনোজ উপাধ্যায়। এই সময় অঙ্কুর হাসপাতালের কাছে বেশ কয়েকজনক যুবক মনোজ উপাধ্যায়ের নাম করে ডাকে। পরিচিত কেউ ডাকছে মনে করে বাইক দাঁড় করাতে বলেন তিনি। এরপর বাইক থেকে নামতেই ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে মোটরবাইক নিয়ে এলাকা ছাড়েন চিন্টু দূবে। মনোজ উপাধ্যায়ের পরিচিতদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তাঁরা। এরমধ্যেই রাস্তায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মনোজ উপাধ্যায়কে দেখতে পান তাঁরা।
খুনের ঘটনায় দলের বড় ক্ষতি বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা অর্জুন সিং। রাজু এবং রতন নামে দুজনের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মনোজ উপাধ্যায়কে সতর্ক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন অর্জুন সিং। রাজু এবং রতন আগে সিপিএম করত, এখন তারা বিজেপি করত বলে জানিয়েছেন হুগলি জেলা তৃণমূল নেতা তপন দাশগুপ্ত। খুনিরা বিজেপি এবং সিপিএমের বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মনোজ উপাধ্যায়ের খুনের ঘটনায় শোকাহত হুগলির জেলা তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তপন দাশগুপ্ত। পাতালে থাকলেও খুনিদের ছাড় পাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে হামলার ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। মনোজ উপাধ্যায়ের ওপর হামলার আশঙ্কার কথা পুলিশকে জানানো হলেও, তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চন্দননগর কমিশনারেট। পুলিশ সূত্রে খবর, হামলাকারীরা ছিল বহিরাগত।