মুক্তির পর রেডস্টার নেতা অলীককে নিয়ে উচ্ছ্বাস, অকাল হোলিতে মাতল ভাঙড়
অলীক চক্রবর্তীর মুক্তি পাওয়ার পর ভাঙড়ে ফিরতেই উচ্ছ্বাস-উন্মাদনায় মেতে উঠলেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার ভাঙড়ের রাস্তা রেঙে উঠল লাল আবিরে। সেইসঙ্গে চলল মিষ্টিমুখ।
ভাঙড় আন্দোলনের রেডস্টার নেতা অলীক চক্রবর্তীর মুক্তিতে অকাল হোলিতে মাতল ভাঙড়। অলীকের জামিন মঞ্জুর হতেই উৎসব শুরু হয়েছিল। আর মুক্তি পাওয়ার পর ভাঙড়ে ফিরতেই উচ্ছ্বাস-উন্মাদনায় মেতে উঠলেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার ভাঙড়ের রাস্তা রেঙে উঠল লাল আবিরে। সেইসঙ্গে চলল মিষ্টিমুখ। কার্যত বিজয় উৎসবের চেহারা নিল ভাঙড়।
অলীক চক্রবর্তীর মুক্তির পর পাওয়ার গ্রিড চত্বরে অবীর মেখে উৎসব শুরু করে দেন আন্দোলনকারীরা। ভাঙড়ের জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান জানান, আর একটা উল্লেখযোগ্য জয় পেলেন তাঁরা। এরপর আশা করি সরকার পক্ষ নমনীয় হবে। দমনপীড়ন নীতির বদলে সরকার আলাপ-আলোচনার রাস্তায় সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবে।
এদিন অলীককে নিয়েই অকাল হোলিতে মেতে ওঠে ভাঙড়বাসী। একে অপরকে আবির মাখিয়ে দেন, মিষ্টি খাইয়ে দেন। অলীককেও মিষ্টিমুখ করান আন্দোলনকারীরা। এলাকার ফিরে কার্যত বীরের সম্মান পান অলীক। অলীকও সবাইকে মিষ্টিমুখ করান। আবির মাখিয়ে দেন। অলীককে মধ্যমণি করেই চলে উৎসবষ
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সিপিআইএমএল রেডস্টার নেতা তথা ভাঙড় আন্দোলনের মুখ অলীক চক্রবর্তীর জামিন মঞ্জুর করে বারুইপুর আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ৩৫টি মামলা হয়েছিল, সমস্ত মামলা থেকেই তিনি জামিন পেয়ে গেলেন। বারুইপুর আদালতের বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে দিতেই ভাঙড়ে অকাল হোলি শুরু হয়ে যায়।
দেড়মাস পর জামিনে মুক্ত হয়ে ভাঙড়ে ফিরলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ভাঙড় আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার। এছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগও ছিল। সেই কারণেই তিনি দীর্ঘদিন পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন। লিভারের সমস্যায় ভোগা অলীক ভুবনেশ্বর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন।
সেখানেই বারুইপুর জেলা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। তাঁর আইনজীবী শারীরিক অসুস্থতার গ্রাউন্ডে তাঁর জামিনের আবেদন করেছিলেন তখনই, কিন্তু জামিন মঞ্জুর হয়নি। জামিন মঞ্জুর হল দেড়মাস জেল খাটার পর। এদিন ভাঙড়ে ফিরি বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভেসে গেলেন অলীক।