গোবরডাঙার বিখ্যাত মুখোপাধ্যায় বাড়িতে দুর্গার আরাধনা চলে পুরনো রীতিতেই
১৮৩১ সালের ২৩ অক্টোবর। ইংরেজ, লেঠেল, জোদদার ও জমিদারদের দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হন ইতিহাস খ্যাত তিতুমীর। উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে নারকেলবেড়িয়া
১৮৩১ সালের ২৩ অক্টোবর। ইংরেজ, লেঠেল, জোদদার ও জমিদারদের দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হন ইতিহাস খ্যাত তিতুমীর। উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে নারকেলবেড়িয়া গ্রামে বাঁশের
কেল্লা তৈরি করেন তিনি। সেখান থেকেই লড়াই করেন শত্রুদের বিরু্দ্ধে। শত চেষ্টা করেও সেদিন পারেননি তিতুমীর। এই অসম যুদ্ধে পরাজয় হয় তাঁরই। সোনার কেল্লাতেই মৃত্যু হয় তিতুমীরের। হয়তো তিনি জিততে পারতেন, হয়তো বা আরও লড়তে পারতেন, যদি না এলাকার কিছু জমিদার পরিবার এ যুদ্ধে ইংরেজদের পাশে দাঁড়াতো। তাদের মধ্যে অন্যতম উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার জমিদার শ্যামরাম মুখোপাধ্যায়। যাঁর বাড়ির পুজোর জাঁক-জমক এখনও ওই এলাকার মুখ্য আকর্ষণ। আর সুনাম দূর-দূরান্তে ছড়ানো।
অবস্থান
শিয়ালদহ
থেকে
ট্রেনে
গোবরডাঙা
স্টেশন
কিংবা
গোবরডাঙা
বাসস্ট্যান্ড
থেকে
অটো
বা
টোটো-তে
প্রথমে
পৌঁছতে
হবে
প্রসন্নময়ী
কালি
মন্দির।
পাশেই
নজরে
পড়ে
বারোটি
আটচালা
শিব
মন্দিরও।
সেখান
থেকে
কিছুটা
এগোলেই
সুবিশাল
মুখোপাধ্যায়
বাড়ির
সদর
দরজা।
সাদা
রঙ
কিছুটা
ফিঁকে
হলেও
বাড়ির
কারুকার্য
এখনও
স্পষ্ট।
ভগ্নপ্রায়
ওই
বাড়ির
ঠাকুর
দালানও
বেশ
বড়।
পুজোর
ইতিহাস
জমিদারির
প্রতিষ্ঠাতা
শ্যামরাম
মুখোপাধ্যায়ের
ছেলে
কালীপ্রসন্ন
মুখোপাধ্যায়
১২২৯
বঙ্গাব্দে
বাড়ির
কাছে
প্রসন্নময়ী
কালি
মন্দির
ও
বারোটি
আটচালা
শিব
মন্দির
স্থাপন
করেন।
তারও
আগে
গোবরডাঙার
ওই
জমিদার
বাড়িতে
দুর্গাপুজো
শুরু
হয়
বলে
স্থানীয়দের
দাবি।
তৎকালীন
সময়কার
রাজা,
সাহেব,
সুবেদাররা
এই
পুজো
দেখতে
আসতেন
বলে
শোনা
যায়।
চার
দিন
ধরে
চলত
নানা
ধরনের
অনুষ্ঠান।
আতসবাজির
রোশনাইতে
আলোকিত
হত
চতুর্দিক।
দুর্গা
পুজো
উপলক্ষ্যে
সেই
রীতি
এ
যুগেও
মুখোপাধ্যায়
বাড়িতে
চালু
আছে
বলে
শোনা
যায়।
বাড়ির
ইতিহাস
অষ্টাদশ
শতকের
দ্বিতীয়ার্ধে
শ্যামরাম
মুখোপাধ্যায়
ইংরেজদের
কাছ
থেকে
নিলামে
গোবরডাঙার
জমিদারি
কেনেন।
দক্ষ
হাতে
সেই
জমিদারি
এগিয়ে
নিয়ে
যান
শ্যামরামের
পুত্র
কালিপ্রসন্ন
মুখোপাধ্যায়।
গোবরডাঙার
ইতিহাস
তারও
পুরনো
বলে
শোনা
যায়।
[ ১৮০ বছরে পা রাখল দাঁ-বাড়ির পুজো, প্রচলিত মতে মর্তে এসে দেবী এই বাড়িতেই গহনা পরতে আসেন]