১৫৬ বছরে এই প্রথম, বিশ্ববাজারে টান পড়তে চলেছে বিখ্যাত দার্জিলিং টি-এ
অগাস্ট মাস থেকে পাইকারি বাজারে নিলামে উঠবে না বিশ্ববিখ্যাত দার্জিলিং চা। টানা বনধের জেরে বিপর্যস্ত পাহাড়ের চা- শিল্প, এককালীন অনুদানের দাবি চা- বাগান মালিকদের।
গত ১৫৬ বছরে প্রথমবার ঘটছে এমন ঘটনা। বিশ্ববাজারে এবার টান পড়তে চলেছে বিশ্বখ্যাত দার্জিলিং চা-এ। অগাস্ট-এর দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই পাইকারি বাজারে নিলাম বা সরাসরি বিক্রি হবে না দার্জিলিং চা। পাহাড়ে মোর্চার ডাকা বনধের জেরে গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে চা- বাগানগুলি। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে চা- বাগানগুলি। যার জেরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পাইকারি বাজারে নিলাম ও খুচরো বিক্রি।
[আরও পড়ুন: দার্জিলিং-এও কি লস্কর-ই-তৈবা, কী বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট]
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই ধুঁকছে পাহাড়ের চা- বাগানগুলি। এরইমধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত গত দেড় মাস ধরে পাহাড়ে চলছে বনধ। যার জেরে বন্ধ রয়েছে চা- বাগানগুলির কাজও। গত বছরের তুলনায় প্রথম মরসুমের চায়ের উৎপাদন এবছর ভাল হয়েছে। দ্বিতীয় দফার উৎপাদন যা শুরু হয়েছিল মে মাসের শেষ থেকে তা জুনের মাসের মাঝামাঝি গিয়ে ধাক্কা খায় মোর্চার অনির্দিষ্টকালের বনধের জন্য। ফলে প্রথম কিছুদিনে যা উৎপাদন হয়েছিল তাই দিয়েই এখনও পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। কিন্তু গত দেড় মাস ধরে পাহাড়ে চায়ের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ। ফলে চা- গাছগুলিও শুকিয়ে গিয়েছে। যার জেরেই অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আর পাইকারি বাজারে দার্জিলিং চা আর নিলামে উঠবে না।
পুরনো স্টকের দামও কয়েকগুন বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই বিশ্বজুড়ে দার্জিলিং চায়ের পাইকারি বাজার ব্যাপক মার খাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে এই চরম সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, সমস্ত চা- বাগান মালিকদের সংগঠন দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশন টি- বোর্ডের দ্বারস্থ হয়েছে। সেইসঙ্গে বিপুল ক্ষতির জন্য এককালীন অনুদানেরও আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। সংগঠনের দাবি, যদি কৃষকদের ঋণ মকুব হতে পারে তাহলেও চা- বাগান মালিকদেরও এককালীন অনুদান পাওয়া উচিত।
তবে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এইধরনের কোনও নিয়ম নেই বলেই জানিয়েছেন টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রভাত বেজবড়ুয়া। অপরদিকে কিছুটা ছাড়ের দাবি জানিয়ে, মোর্চা প্রধান বিমল গুরুংয়ের দ্বারস্থও হয়েছে দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। অবশ্য গুরুং এখনও পর্যন্ত নিজের অবস্থানেই অনড় বলে জানা গিয়েছে।