পাহাড়ে বনধের ভ্রুকুটি, দার্জালিংয়ে পর্যটনে গিয়ে ঘোরতর বিপাকে পর্যটকরা
পুজো শুরুর দিনেই পাহাড়-পর্যটনে বাধ সেধেছে বনধের ভ্রুকুটি। শুক্রবার বনধ চলছে পাহাড়ে। শ্রমিকদের পুজো বোনাসের দাবিতে চা বাগানের শ্রমিকরা সামিল হয়েছেন বনধে। শুক্রবার সকাল থেকে চা বাগান শ্রমিকদের ডাকা বনধের জেরে দার্জিলিং নিস্তব্ধ। শুধু দার্জিলিং নয়, কালিম্পং, কার্শিয়াং ও মিরিকেও বনধ চলছে।

এই বনধের ফলে শিলিগুড়ি থেকে কোনও গাড়ি উঠছে না পাহাড়ে। ফলে পাহাড় পর্যটনে ফের আশঙ্কার কালো মেঘ জমতে শুরু করেছে। কোনও যানবাহনই চলছে না। চা বাগান শ্রমিকদের দাবি, ২০ শতাংশ হারে পুজো বোনাস দিতে হবে। কিন্তু সেই দাবি মানা হয়নি চা বাগান মালিকদের পক্ষ থেকে।
চা বাগদান শ্রমিকদের ডাকা বনধে ডান-বাম একসঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এমনকী শাসক তৃণমূলও সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে শ্রমিকদের দিকে। শুক্রবারের মধ্যে বোনাস সমস্যা না মিটলে গোর্খা জনমুক্তি প্রধান বিনয় তামাং আমরণ আনষনে বসবেন বলে জানিয়েছেন। বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল একযোগে পাশে দাঁড়িয়েছে চা বাগান শ্রমিকদের।
আর এই বনধের জেরে চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে পাহাড় পর্যটন। পাহাড়ে পা রাখতে পারছেন না পর্যটকরা। পাহাড় শুনশান। যাঁরা পাহাড়ে রয়েছেন, তাঁরাও বের হতে পারছেন না। এই অবস্থায় বনঝরে ঝক্কি মিটিয়ে ফের কীভাবে পাহাড়ে পর্যটন স্বাভাবিক হয় সেদিকে তাকিয়ে পর্যটক, এমনকী পর্যটন-ব্যবসায়ীরাও।