শান্তির বার্তা নিয়ে দার্জিলিংয়ে মমতা, বনধ-মুক্তির প্রহর গুণছেন পাহাড়বাসী
গত তিন মাস ধরে পাহাড়ে বনধ চলছে। পাহাড় অচল হয়ে রয়েছে। তবে নবান্নে বৈঠকের পর পরিস্থিতির বদল ঘটতে শুরু করে। এবার উত্তরকন্যায় মিলবে স্থায়ী সমাধান, আশায় পাহাড়বাসী।
পাহাড়ে
শান্তি
ফেরানোর
বার্তা
নিয়ে
শিলিগুড়ি
পৌঁছে
গিয়েছেন
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার
উত্তরকন্যার
বৈঠকে
বসবেন
তিনি।
তার
আগে
পাহাড়বাসী
প্রহর
গুণছে
এই
বৈঠক
থেকেই
পাহাড়ে
বনধ
উঠবে।
ফের
হাসতে
শুরু
করবে
পাহাড়।
সোমবার
বিকেলেই
তিনদিনের
সফরে
শিলিগুড়ি
পৌঁছে
যান
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি
বাগডোগরা
বিমানবন্দরে
নামেন।
এদিন
শিলিগুড়িতে
রয়েছেন
মুখ্যমন্ত্রী।
সকালেই
শুরু
হবে
পাহাড়ে
শান্তি
ফেরানোর
যুদ্ধ।
এদিনের শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা বিনয় তামাং, অনীত থাপা থেকে শুরু করে পাহাড়ের অন্যান্য দলের নেতৃত্বের। গুরুংপন্থীরাও এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিমল গুরুং-রা সিদ্ধান্ত নিয়েই ছিলেন তাঁদের তরফে প্রতিনিধি যাবে পাহাড় বৈঠকে যোগ দিতে। সেইমতো রবিবার পাহাড়ের তিন বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনেও পাঠিয়েছিলেন গুরুং।
আসলে এই বৈঠককে কেন্দ্র করেও বিনয় তামাং ও বিমল গুরুংয়ের মধ্যে শুরু হয়েছে ইগোর দ্বন্দ্ব। গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আলোচনা না হলে এই বৈঠক নিষ্প্রয়োজন বলে গুরুং গোপন ডেরা থেকে জানালেও, পরে সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। এবং তাঁর প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন বৈঠকে।
উল্লেখ্য, গত তিন মাস ধরে পাহাড়ে বনধ চলছে। পাহাড় অচল হয়ে রয়েছে। তবে নবান্নে বৈঠকের পর পরিস্থিতির বদল ঘটতে শুরু করে। মানুষ ভয় ভেঙে রাস্তায় বের হতে শুরু করে। কার্শিয়াং ও মিরিকে আগেই বনধ তুলে সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক খুলতে দেখা গিয়েছিল। এবার কালিম্পংয়েও ব্যাঙ্ক ও সরকারি অফিস খুলল এদিন।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকের পর কার্শিয়াংয়ের পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। প্রশাসনের কাছ থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে ব্যবসায়ীরা দোকান-বাজার খোলে, খোলে সরকারি অফিস ও ব্যাঙ্ক। এদিন স্কুল-কলেজগুলিও খুলতে বার্তা দেয় প্রশাসন। এদিন পুলিশি প্রহরায় শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং সরকারি বাসও চালানো হয়। শিলিগুড়ি থেকে মিরিক পর্যন্তও বাস চলেছে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে উত্তরকন্যার বৈঠকে মোর্চা যোগ দেবে বলে জানালেও, এদিন আতঙ্ক ছড়াতে বনধের সমর্থন পোস্টারও দেয়। সেই পোস্টারে হুমকি দেওয়া হয় দোকান-বাজার খুললে ফল ভালো হবে না। এরপরই জেলা প্রশাসন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান, দোকান-বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে।
মঙ্গলবার যেনতেন প্রকারে পাহাড়ে শান্তি ফেরানোই রাজ্য প্রশাসন তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ। পাহাড় বনধ তুলে পুজোর আগে পর্যটন ফের শুরু করতে চান তিনি। স্বল্প সংখ্যক পর্যটকো যদি পাহাড়ে আসেন পুজোর মরশুমে তবে মুখরক্ষা হবে রাজ্যের।