শুধু কেন্দ্র নয়, উপহারের ডালি নিয়ে হাজির রাজ্যের বাজেটও
কেন্দ্র সরকার যেমন ভোটের কথা মাথায় রেখে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেছে, তেমনই ভোটের কথা ভেবেই রাজ্য বাজেটও পেশ হল।
কেন্দ্র সরকার যেমন ভোটের কথা মাথায় রেখে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেছে, তেমনই ভোটের কথা ভেবেই রাজ্য বাজেটও পেশ হল। এখানেও কৃষকদের পাশাপাশি যুব সম্প্রদায়কে কাছে টেনে নেওয়ার প্রয়াস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র রাজ্যের কর্মহীন ৫০ হাজার যুবক-যুবতীদের এককালীন ১ লক্ষ টাকা ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর জন্য বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এছাড়া কৃষকদের জন্য কৃষক বন্ধু প্রকল্পের কথা ঘোষিত হয়েছে। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা করে জমা পড়বে বলেও জানা গিয়েছে।
বাংলায় ২০১৮ সালে ৯ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অমিত মিত্র। বাংলায় ৮.৮২ কোটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তা পাচ্ছেন বলেও জানা গিয়েছে। রাজ্যের আর্থিক ঘাটতি ৩.৭ শতাংশ থেকে কমে ০.৯ শতাংশে কমে এসেছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। ইন্ডাস্ট্রিয়াল আউটপুটেও বাংলা কেন্দ্রের চেয়ে তিনগুণ ভালো কাজ করেছে।
শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে বলে অমিত মিত্র দাবি করেছেন। অনেক স্কুল যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনই ৪২টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালও তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। এছাড়া ১০টি মেডিক্যাল কলেজ ও ২৭টি নার্সিং ট্রেনিং স্কুলও তৈরি হয়েছে। ২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১২টি। ২০১৮ সালে তা বেড়ে ৪০টি হয়ে গিয়েছে।
এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে ২৫.৮ লক্ষ কর্মীকে ১৩২৪ কোটি টাকা সাহায্য করা হয়েছে। ২ লক্ষ পরিবার সমব্যথী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। লোক প্রসার প্রকল্পে ২ লক্ষ লোকশিল্পীকে সাহায্য করা হয়েছে। এছাড়া বাংলা আবাস যোজনায় ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩৫৫টি বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। যার জন্য সরকারের খরচ হয়েছে ৫৮৬৭ কোটি টাকা।