সাপ নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে অযথা ভীতি কাটানোর উদ্যোগ নিল উচ্চ শিক্ষা দপ্তর
পড়ুয়াদের সঙ্গে সরীসৃপ, বিশেষত সাপেদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দপ্তর। জানা গিয়েছে, সরকারি স্কুলগুলির অষ্টম শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বা জীবন বিজ্ঞানের একটি নতুন অধ্যায়ে এই সরীসৃপদের জীবনী যোগ করা হবে। যা আগামী শিক্ষা বর্ষ থেকেই শুরু হতে চলেছে।

জাজ আবদুল বাড়ি গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সবনম নাজ বলেন, 'জীবন বিজ্ঞানে নতুন এই অধ্যায়ের সূচনার ফলে পড়ুয়ারা নিজেরা যেমন সতর্ক থাকতে পারবে তেমনি সাপেদের জীবন সম্পর্কে জানতেও পারবে এবং ক্ষতিহীন সরীসৃপদের হত্যা করা রোধ করতে পারবে।’ নব নালন্দা স্কুলের এক সিনিয়র শিভিকা বৈশাখি ভট্টাচার্য বলেন, 'দু’ধরনের সাপ রয়েছে। বিষধর ও বিষহীন। পড়ুয়াদের এ বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার পেছনে কারণ হল তারা যাতে এই দু’ধরনের সাপেদের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে এবং কিভাবে তাদের সুরক্ষিত রাখতে হবে সে বিষয়টাও যাতে বুঝতে পারে। সাপের বিষের কি প্রভাব হতে পারে সেটা জানার পাশাপাশি অপ্রয়োজনে সাপেদের হত্যা প্রতিরোধও তারা করতে পারবে। বোর্ডের পক্ষ থেকে এটা ভালো উদ্যোগ।’ সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনার সাক্ষী থেকেছে এ রাজ্য। শুধু গ্রামেই নয়, মফঃস্বলেও সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে।
সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভিক মজুমদার বলেন, 'এই নতুন অধ্যায় পড়ুয়াদের বিষহীন, বিষযুক্ত সাপের কামড় এবং দেশের বিভিন্ন সরীসৃপদের সম্পর্কে শিক্ষা দেবে। সাপের সম্বন্ধে জানার পাশাপাশি সাপ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে কতটা জরুরি তাও জানতে পারবে পড়ুয়ারা।’ সাপেদের নিয়ে এই অধ্যায় তৈরি করতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসকরা সিলেবাস কমিটিকে সাহায্য করবে।