রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ আটকে চার প্রশ্নে, রায়ের আগে উত্তরের খোঁজে আদালত
আপাতত ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধ বিরতি। তারপর ফের ডিএ-যুদ্ধ শুরু হবে আদালতের আঙিনায়। কলকাতা হাইকোর্ট এখনও চার প্রশ্নের জবাব পায়নি।
সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে ডিএ মামলা উঠেছে ডিভিশন বেঞ্চে। তবে চার প্রশ্নের খটকা কিছুতেই যাচ্ছে না। আপাতত ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধ বিরতি। তারপর ফের ডিএ-যুদ্ধ শুরু হবে আদালতের আঙিনায়। কলকাতা হাইকোর্ট এখনও চার প্রশ্নের জবাব পায়নি। সেই প্রশ্নের উত্তর পেলেই ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় জানা যাবে। সরকারি কর্মীরা তাই অধীর আগ্রহে এখন তাকিয়ে রয়েছে সেই উত্তর জানার অপেক্ষায়।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখ ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চে উঠছে ডিএ মামলা। তার আগে মঙ্গলবার হাইকোর্টের এই ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে জবাব তলব করেছে। হাইকোর্ট আগেই প্রশ্ন তুলেছিল মহার্ঘভাতা কি সরকারি কর্মচারীদের ন্যাহ্য অধিকার? যদি অধিকারই হয়, তবে কবে শেষ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়েছে?
সেইসঙ্গে আরও দুটি অবধারিত প্রশ্ন উঠে পড়েছে। এক, কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মহার্ঘভাতা বা ডিএ-র ফারাক কত? রাজ্য কি নিয়ম মেনেই এই ডিএ-র হার নির্ধারিত করেছে? প্রথম প্রশ্নের উত্তর যদি রাজ্যের বিপক্ষে যায়, তবে বাকি তিন প্রশ্নে রাজ্য বিব্রত হবেই। তাই ডিএ মামলায় বুধবারের শুনানির আগে চাপে রাজ্য।
কলকাতা
হাইকোর্ট
ইতিমধ্যেই
ডিএ
মামলায়
বিস্তারিত
রিপোর্ট
পেশের
নির্দেশ
দিয়েছে
কলকাতা
হাইকোর্ট।
রাজ্য
সরকারি
কর্মীদের
কত
টাকা
ডিএ
বাকি
রয়েছে,
কবে
থেকে
বাকি
রয়েছে,
তা
বিস্তারিত
নিয়েই
আইনি
যুদ্ধ
শুরু
হবে
বুধবার।
উল্লেখ্য,
রাজ্যে
সরকারি
কর্মচারীদের
দুটি
সংগঠন
রাজ্যের
প্রশাসনিক
ট্রাইব্যুনালে
মামলা
করে।
সেখানেই
মুখ
পোড়ে
কর্মচারীদের।
স্যাট
জানায়,
ডিএ
পাওয়া
কর্মীদের
অধিকারের
মধ্যে
পড়ে
না।
এটা
সম্পূর্ণ
সরকারের
ইচ্ছার
উপর
নির্ভর
করে।
এরপর
এই
নির্দেশকে
চ্যালেঞ্জ
করে
মামলা
করে
দুই
সংগঠন।
সেই
মামলাই
এখন
চার
প্রশ্নে
আটকে,
যার
মূল
প্রশ্ন
হল
সরকারি
কর্মীদের
ডিএ-র
অধিকার
কি
যুক্তিযুক্ত?
নাকি
তা
নির্ভর
করে
সরকারের
ইচ্ছার
উপর।
সেই
প্রশ্নের
উত্তর
বুধবার
মেলে
কি
না,
তা-ই
দেখার।