প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতা নিতে পারে! অশান্তি বিতর্কে হলফনামা তলব করে জানাল হাইকোর্ট
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলতে থাকা অশান্তির ঘটনায় আপাতত রাজ্য পুলিশের ওপরেই ভরসা রাখল হাই কোর্ট। তবে যদি রাজ্য পুলিশ ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতা নিতে পারে। তবে রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত ক
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলতে থাকা অশান্তির ঘটনায় আপাতত রাজ্য পুলিশের ওপরেই ভরসা রাখল হাই কোর্ট। তবে যদি রাজ্য পুলিশ ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতা নিতে পারে। তবে রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে বলে এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালতের আরও নির্দেশ, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানিয়ে বুধবারের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা আকারে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে হবে বলেও এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
বাহিনী নামানো নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে
নূপুর শর্মার মন্তব্যের ইস্যুর বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে যে বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। পরিস্থিতি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে ৷ এই নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ঠেকাতে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন ব্যর্থ বলে কলকাতা হাইকোর্টে দাবি করেন মামলাকারীরা ৷ দুপুর আড়াইটের সময় এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। একেবারে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলা'র শুনানি হয়। সেখানেই এহেন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত রাজ্য।
তবে এদিন শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা আদালতে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়৷ তিনি জানিয়েছেন যে প্রতিবাদ বিক্ষোভের জেরে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত রাজ্য। বলে রাখা প্রয়োজন, বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিক্ষোভ৷ এদিন অবশ্যই আবেদনকারী আইনজীবীদের তরফে সেই বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়।
পরিস্থিতির ফটোগ্রাফ তিনি জমা দিয়েছেন আদালতে
এই নিয়ে মামলাকারী আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত জানিয়েছেন, পরিস্থিতির ফটোগ্রাফ তিনি জমা দিয়েছেন আদালতে। তাঁর দাবি, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। প্রশাসন তেমন কিছুই করতে পারছে না বলে অভিযোগ আইনজীবীর। রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ডাকার ব্যাপারে দ্বিধা থাকা উচিত নয় বলেও এদিন আদালতে জানান আইনজীবী। তাঁর মতে, রাজ্য পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ইন্টারনেট বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না বলেই এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবীরা।
এক নজরে রাজ্যের বক্তব্য
অন্যদিকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করেন৷ পরিবর্তে তিনি রাজ্য এই নিয়ে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার খতিয়ান তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, রাজ্যে ১০ জুন পর্যন্ত ২১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৬ টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। এদিন সবপক্ষের বক্তব্য জানিয়ে হলফানামা জমা দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের উপরই ভরসা রাখার কথা জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে প্রয়োজনে বাহিনী নামানোর কথা বলা হয়েছে।