কালী পুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোয় ট্রেন নিয়ন্ত্রণ! প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
'কালীপুজোর দিন ট্রেন সম্পূর্ন বন্ধ রাখলে এবং জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দননগরগামী ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করলে ভালো হয়।' উৎসবের মরসুমে করোনা সংক্রমণের এই আশঙ্কায় উৎসবের সংশ্লিষ্ট জায়গার ১০ কিলোমিটার আগে-পরের স্টেশনে লোকাল ট্রেন দাঁড় না করানোর আর্জি নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানালো কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

পাশাপাশি, করোনা সংক্রমনের আশংকায় দায়ের হওয়া বাজি বন্ধ নিয়ে আগের আরেকটি জনস্বার্থ মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, 'বাজি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করলে নজরদারি আরো ভালো হবে।'
ছট পূজার শোভাযাত্রা ক্ষেত্রে আদালত জানিয়েছে, ছটপূজা নিয়ে রাজ্যের কোনো পরিকল্পনা নেই। দুর্গাপুজো, কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোয় শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই ছট পুজোয় এই ধরণের শোভাযাত্রা করার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। বলেও জানিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, বাজি বন্ধ নিয়ে দায়ের হওয়া জোড়া জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানায়, এবছর কোন প্রকার বাড়ি বিক্রি বা ফাটানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। করোনা পরিস্থিতির কারণে সম্পূর্ণ দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্পূর্ণ এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সে ক্ষেত্রে বাজি কেনা বা বিক্রির ক্ষেত্রে রাজ্যকে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই মামলার শুনানিতেই আদালতের পর্যবেক্ষণে আদালত রাজ্যের উদ্দেশ্যে জানিয়েছে, 'বাজি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করলে নজরদারি আরো ভালো হবে।'
অন্যদিকে, ছট পুজোর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। এদিন মামলার শুনানিতে সেই রিপোর্টটি দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের। কোন রাজ্যের তরফ এ উপস্থিত এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে জানান, ছটপূজার দিন কোন পরিবার থেকে কজন লোক বেরোবে সেটা ঠিক করে দেওয়া রাজ্যের পক্ষে অসম্ভব। তবে জমায়েত বা বিশৃঙ্খলা রুখতে তৎপর প্রশাসন।
এছাড়াও, বুধবার থেকেই প্রথম পর্যায়ে চালু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন। তারপরেও এ মরশুমে একাধিক উৎসব-পার্বণ রয়েছে। রাজ্যে উৎসবের মরশুমে কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, ছট পুজো, কার্তিক পুজোর মতো অনুষ্ঠান কর্মসূচি থেকে ফেরার সময় ট্রেন ধরার জন্য নিকটবর্তী স্টেশনে ভিড় করতে পারে সাধারণ মানুষ। ছড়াতে পারে আরও অধিক মাত্রায় করোনা সংক্রমণ। এই আশঙ্কায় এবার অনুষ্ঠিত উৎসবের সংশ্লিষ্ট জায়গার ১০ কিলোমিটার আগে-পরের স্টেশনে লোকাল ট্রেন দাঁড় না করানোর আর্জি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।

এই সব কটি মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালতে দ্বিতীয়ার্ধে মামলার শুনানি শেষে এই সংক্রান্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
বিহার ভোটের কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়! ২০২১-এর আগে দ্বিধাবিভক্ত তৃণমূল