প্রাথমিক টেটে জোর ধাক্কা রাজ্যকে, প্রশিক্ষণরতদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী বলল হাইকোর্ট
মামলাকারীরা টেট পরীক্ষায় বসতে পারলেও, তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে আদালতই। মামলার চূড়ান্ত রায়ের উপরই নির্ভর করবে তাঁদের চাকরির ভবিষ্যৎ।
প্রাথমিক টেটে প্রশিক্ষণরতদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেয়েছে মামলাকারীরা। হাইকোর্টের এই নির্দেশে এবার মামলাকারীরাও পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এজন্য তাঁদের অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে হবে। তাঁরা অফলাইনেও ফর্ম পূরণ করতে পারবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। আর তাঁদের ফর্ম পূরণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে পর্ষদকেই। এমনকী ৫০ শতাংশের কম নম্বর থাকলেও তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
এদিন আদালত আরও জানিয়েছে, মামলাকারীরা টেট পরীক্ষায় বসতে পারলেও, তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে আদালতই। মামলার চূড়ান্ত রায়ের উপরই নির্ভর করবে তাঁদের চাকরির ভবিষ্যৎ। আদালতের নির্দেশ এলেই তাঁদের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করতে পারবে পর্ষদ, অন্যথায় তাঁদের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা যাবে না। প্রশিক্ষণ শেষ না হলে তাঁরা চাকরি পাবেন না।
গত ১২ অক্টোবর ডিএলএড ও ডিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রায় ২০০ চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁদের দাবি, এনসিটিই গাইড লাইন থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। অবিলম্বে তাঁদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিতে হবে। তাঁর পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারক মামলাকারীদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছেন।
এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, বিজ্ঞপ্তিতে উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক বলা হয়েছিল। তাঁরা কীভাবে টেট পরীক্ষায় বসতে পারেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন এজি। ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। উল্লেখ্য এই মাসেই প্রাইমারি টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য টেট সংক্রান্ত নিয়মাবলীর কথা ঘোষণা করার পরই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রশিক্ষণরত ছাত্রছাত্রীরা।