বনগাঁ পুরসভায় ফের আস্থা ভোট! এবার কোন পক্ষের দিকে পাল্লা ভারী, উত্তেজনা তুঙ্গে
ফের আস্থা ভোট করার নির্দেশ বনগাঁ পুরসভায়। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তী চট্টোপাধ্যায় ১২ দিনের মধ্যে নতুন করে আস্থা ভোট করার নির্দেশ জারি করেন।
ফের আস্থা ভোট করার নির্দেশ বনগাঁ পুরসভায়। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তী চট্টোপাধ্যায় ১২ দিনের মধ্যে নতুন করে আস্থা ভোট করার নির্দেশ জারি করেন। শান্তিপূর্ণভাবে আস্থা ভোট করাতে পুলিশকে সবরকম ব্যবস্থা রাখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। আস্থা ভোট না হওয়া পর্যন্ত মহকুমাশাসক বা প্রশাসনিক আধিকারিক সামলাবেন দায়িত্ব।
জয় দেখছেন বিরোধী কাউন্সিলররা
বনগাঁ পুরসভা নিয়ে বিচারপতির এই রায়কে নিজেদের জয় দেখছেন বিরোধী কাউন্সিলররা। চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা কাউন্সিলররা বলেন আদালতের এই নির্দেশ ঐতিহাসিক। আবেদনকারী ১৪ কাউন্সিলরই এই জয়ে উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন।
ভোটাভুটিকে ঘিরে ধুন্ধুমার
যে ১৪ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন, তাঁদের ১২ জন বিজেপিতে যোগদান করেন। পরে আবার একজন তৃণমূলে ফিরে আসেন। ফলে ২২ আসনবিশিষ্ট বনগাঁ পুরসভায় তৃণমূল ও বিজেপি ১১-১১ হয়ে যায়। এই অবস্থায় ভোটাভুটিকে ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে।
দাবি, আস্থা ভোটে দু-পক্ষই জয়ী
দু-পক্ষই দাবি করে দু-পক্ষই জয়ী। তৃণমূলব দাবি করে ভোটাভুটির সময় বিরোধী কাউন্সিলররা উপস্থিত হতে পারেননি, তাই ১১-০ ফলে জয়ী হয়েছেন তাঁরা। বিজেপির দাবি, জোর করে পুলিশকে দিয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে। আসলে জিতেছেন তাঁরাই। এই নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে।
আস্থা ভোটের অপেক্ষা
কলকাতা হাইকোর্টের তরফ তিনদিনের মধ্যে আস্থা ভোটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মামলা চলাকালীন বনগাঁ পুরসভায় চার সদস্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলে ফিরে আসে বলে দাবি করা হয়। ফলে শাসকদল সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে দাবি করে। শেষমেশ ফের আস্থা ভোটের অপেক্ষা বনগাঁ পুরসভায়।