রাজ্যের চার পুরসভা নির্বাচন কি স্থগিত হবে, কমিশন-রাজ্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা হাইকোর্টের
রাজ্যের চার পুরসভা নির্বাচন কি স্থগিত হবে, কমিশন-রাজ্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা হাইকোর্টের
বিজেপি থেকে সিপিএম সবাই-ই করোনা আবহে রাজ্যের পুরভোট স্থগিত রাখার সওয়াল করেছে। কিন্তু শাসকদল অনড় করোনা বিধি মেনে ঘোষিত চার পুরসভার ভোট সম্পূর্ণ করতে। নির্বাচন কমিশনও ঘোষিত চার পুরসভা ভোটের পক্ষে সওয়াল করেন। এই অবস্থায় পুরসভা নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার রায়দান স্থগিত রাখলেন সোমবার পর্যন্ত।
রাজ্যে করোনার সংক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। দ্বিতীয় তরঙ্গের মতো তৃতীয় ঢেউও আছড়ে পড়তে চলেছে বাংলার বুকে। এই অবস্থায় কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন বাড়ছে। মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বিধান নগরের ২৩ এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এমতে অবস্থায় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়াই প্রয়োজন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র বলেন, ইতিমধ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেছে। সব রকমের করোনা-বিধি মেনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি সারা। নির্বাচন কমিশন সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করছে। আমরা মঙ্গলবারই হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়ে দেব, কোথায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের চার পুরসভায় করোনা বিধির মেনেই ভোট হবে।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর মুখে এ কথা শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, মহ্গলবার হলফনামা জমা দিলে খুব দেরি হয়ে যাবে। তখন জয়ন্ত মিত্র বলেন, সোমবারের মধ্যে হলফনামা জমা দেব। নির্বাচন কমিশনের সওয়াল শোনার পর প্রধান বিচারপতি রাজ্যের অবস্থান জানতে চান।
এরপরই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের কাছে সবরকমের সহযোগিতা পাবে। যত রকমের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সহযোগিতা চাইবে নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকার সাহায্য করবে। এরপরই প্রধান বিচারপতি ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমে নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে সোমবারের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশনকে।
প্রধান বিচারপতি জানান, ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমে নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ জানুয়ারি। তার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের করোব বিধি সংক্রান্ত হলফনামা খতিয়ে দেখা হবে। নির্বচন কমিশন কী অবস্থান নিয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে হাইকোর্টের কাছে। ১১ জানুয়ারি চূড়ান্ত রায় জানাবে হাইকোর্ট।
এদিন ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুর নির্বাচনে পুলিশি ডোমিনেশন চলেছে বলে অভিযোগ করে নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানান আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ১০১, ১০২, ১০৬, ১০৯-এই চারটি ওয়ার্ডের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন প্রার্থীরা। আমরা এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে হলফনামা দিতে চাই। প্রধান বিচারপতি বলেন, ২৪ জানুয়ারির মধ্যে তা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী এই মর্মে বলেন, ২৩ ডিসেম্বরে আদালতের নির্দেশ মতো আমরা ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি।