গ্রুপ ডি নিয়োগ নিয়ে বড়সড় দুর্নীতি: অভিযোগ খতিয়ে দেখে ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
গ্রুপ ডি নিয়োগ নিয়ে বড়সড় দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। নিয়োগ কীসের ভিত্তিতে সেই সংক্রান্ত কোনও উত্তর দিতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন কিংবা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর এরপরেই ২৫ জনের বেতন বন্ধের ন
গ্রুপ ডি নিয়োগ নিয়ে বড়সড় দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। নিয়োগ কীসের ভিত্তিতে সেই সংক্রান্ত কোনও উত্তর দিতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন কিংবা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর এরপরেই ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
যদিও পরবর্তীকালে সেই সংক্রান্ত মামলাতে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। যেখানে দেখা যায় নিয়োগ ২৫ জন নয়, ৫০০ জনেরও বেশি। যা নিয়ে রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। মামলার শুনানিতে এদিন ৫৪২ জনের নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিপত্র জমা পড়ে আদালতের কাছে। আর তা খতিয়ে দেখে ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এই বিষয়ে আগে অভিযোগ খতিয়ে দেখার কথা বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ।
আর অভিযোগ প্রমান হলেই বেতন বন্ধ হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে আদালত।
ইতিমধ্যে অনিয়ম সংক্রান্ত নথি তুলে দেওয়া হয় কমিশনের হাতে। এই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখা হবে। ২০১৯-এর ৪ মে'র পর নিয়োগ সুপারিশ হয়ে থাকলে এবং তার ভিত্তিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিয়োগ করে থাকলে তবেই বেতন বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গ্রুপ ডি মামলাতে দুর্নীতি কোন জায়গাতে, তা সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন বিচারপতি। যা নিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে যায় শিক্ষা দফতর। ব্রাত্য বসু জানান, নির্দেশকে চালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে। সেই মতো সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। সেই মামলাতে আগামী তিন সপ্তাহের জন্য সিবিআই তদন্তের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।
আর এখানে আবেদনকারী আইনজীবীরা প্রমান নষ্ট করে ফেলার আশঙ্কা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে।
যাতে কোনও প্রমান নষ্ট না হয়ে যায় সেদিকে তাকিয়ে সমস্ত তথ্য এবং নথি আদালতের কাছে মুখ বন্ধ খামে জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। একদিকে যখন ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে তখনই বাকি নিয়োগ নিয়ে ফের মামলা ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। ৫৪২ জনকে অস্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।
সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি জমা দেন আবেদনকারী আইনজীবীরা। সেই মামলাতেই বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আগে ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। এবার বাকি ৫৪২ জনের জন্যেও কড়া পদক্ষেপ আদালতের।