এখনই ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই! রাজ্যের তদন্তের উপরেই ভরসা হাইকোর্টের
ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে একাধিক তৃণমূল নেতার ছবি ঘিরে আরও বিতর্ক বেড়েছে। এই অবস্থায় সিবিআই তদন্তের দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতে স্বস্তি রাজ্যের।
ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে একাধিক তৃণমূল নেতার ছবি ঘিরে আরও বিতর্ক বেড়েছে। এই অবস্থায় সিবিআই তদন্তের দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতে স্বস্তি রাজ্যের।
আজ শুক্রবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ করে দেয়। আদালতের রায়ে স্বস্তি রাজ্যের।
গত মাসের শেষের দিকে ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ড ধরা ধরা পড়ে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে গ্রেফতার করা হয়। আর তাঁকে গ্রেফতার করতে সামনে আসে একের পর এক কেলেঙ্কারি।
জানা যায়, অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব ভুয়ো আইপিএস পরিচিয় দিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারি ঘটাত।
শুধু তাই নয়, পুরসভার যুগ্ম-কমিশনার পরিচয় দিয়ে একের পর এক এই ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ সে চালাত। এরপরেই একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের একের পর এক ছবি প্রকাশ্যে আসে। যা নিয়ে অস্বস্তি বাড়ে শাসক তৃণমূলের।আর এই ছবি সামনে আসার পরেই কার্যত শাসকদলের উপর চাপ বাড়াতে থাকে।
শুধু তাই নয়, সঠিক পথে এত বড় কেলেঙ্কারির তদন্ত আদৌও সঠিক ভাবে হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শুধু তাই নয়, ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডের পিছনে রয়েছে বড় কোনও মাথা। ফলে নিরপেক্ষ কোনও তদন্ত এজেন্সি দিয়ে ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডের তদন্ত করতে হবে। আর সেই দাবিতেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।
মামলাতে আবেদনকারী আইনজীবী সন্দীপন দাস আদালতের কাছে এই মামলার তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে যাতে করানো হয় সেই দাবি তোলেন। আরও বেশ কয়েকটি মামলা হয়। তিনটি মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
গত শুনানিতে এই মামলায় রাজ্যের কাছে হলফানা তলব করে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য সরকারি কোন পথে তদন্ত করছে সেই সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠায়। ইতিমধ্যে তা ডিভিশন বেঞ্চের কাছে জমাও পড়েছে।
আজ শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি শুরু হয় ডিভিডন বেঞ্চে। আদালতের কাছে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, এই মুহূর্তে ১৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত জেরা করা হয়েছে ৫০ জনকে। টিকা সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্টের পরীক্ষা হচ্ছে।
কয়েকটি রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষা। সেসব হাতে পেলেই চার্জশিট দাখিল করা হবে। আদালত অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্যে কার্যত সন্তোষ প্রকাশ করে। যেভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া এগোচ্ছে তা সঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে দাবি কলকাতা হাইকোর্টের।
তবু সবপক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত রাজ্যের তদন্তে আস্থা রেখেছে। এবং আবেদনকারীদের আবেদন খারিজ দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এখনও পর্যন্ত যেভাবে তদন্ত এগোচ্ছে তা সন্তোষজনক।