কার্যত গুরুত্ব হারাল সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা! হাইকোর্টে স্বস্তি রাজ্য সরকারের
বুধবার ডিএ মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিল, রোপা আইন মেনেই রাজ্য সরকার ডিএ দিচ্ছে। তবে কেন্দ্রের সঙ্গে সমহারে রাজ্য ডিএ দিতে পারছে না এটা ঠিক।
এক ধাক্কায় গুরুত্ব হারাল ডিএ মামলা। বুধবার এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিল, রোপা আইন মেনেই রাজ্য সরকার ডিএ দিচ্ছে। তবে কেন্দ্রের সঙ্গে সমহারে রাজ্য ডিএ দিতে পারছে না এটা ঠিক। কিন্তু ডিএ সংক্রান্ত এই মামলায় তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্টের বিচারপতি।
রোপা আইনে রাজ্য সরকার কর্মচারীদের ডিএ দিচ্ছে না বলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে কর্মচারী সংগঠনগুলি। কিন্তু সেই দাবি খারিজ হয়ে যাওয়ারই পথে। রাজ্য সরকার রোপা আইন মেনেই এতদিন ডিএ দিয়ে আসছে বলেই প্রমাণ মিলেছে। বরং রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে পারে, তারা কেন্দ্রের সঙ্গে সমহারে ডিএ দিতে পারছে না। দিন দিন রাজ্য ও কেন্দ্রের ফারাক বাড়ছে ডিএ-র পরিমাণে।
এদিন চার প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ডিএ-যুদ্ধ ফের শুরু হয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। চার প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখ ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি খতিয়ে দেখে জানায়, রাজ্য সরকার রোপা আইন মেনেই ডিএ দিয়ে আসছে।
এরপর আগামীকাল ফের শুনানি হবে এই ডিএ মামলার। সেখানে ফের প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন বিচারপতিরা। মহার্ঘভাতা কি সরকারি কর্মচারীদের ন্যাহ্য অধিকার? যদি অধিকারই হয়, তবে কবে শেষ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়েছে? সেইসঙ্গে আরও দুটি অবধারিত প্রশ্নের কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মহার্ঘভাতা বা ডিএ-র ফারাক কত? রাজ্য কি নিয়ম মেনেই এই ডিএ-র হার নির্ধারিত করেছে?
সেইসব প্রশ্নের অর্ধেক উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। রোপা আইন মেনে রাজ্য ডিএ দিচ্ছে। ফলে রোপা আইন মেনে ডিএ দেওয়া হচ্ছে না বলে যে অভিযোগ করা হয়েছিল, তা কার্যত খারিজ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে গুরুত্ব হারাল ডিএ মামলা। তবে ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি চলতে থাকবে।