পুজো–পার্বণে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা, শীতের আমেজে উৎসব–মেলার প্রস্তুতিতে রাজ্য সরকার
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বিশ্বজুড়ে যে মহামারির সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে বাঙালির উৎসব–পুজো পার্বনেও। যার ফলে এ বছর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো একেবারে সাদামাটাভাবে পালন করা হয়েছে এবং কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশানুসারে কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোও একইভাবে মণ্ডপে দর্শক ছাড়াই পালন করা হবে। একদিকে যখন পুজোর এই হাল, তখন বাঙালি তথা পশ্চিমবঙ্গবাসা তাকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মেলা ও উৎসবের দিকে, যা প্রতিবছর শীতকালে পালন করা হয়ে থাকে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিভিন্ন দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে বিভিন্ন জেলায় মেলার আয়োজন করা যাবে কিনা এই পরিস্থিতিতে। যেখানে শিল্পীরা তাঁদের হাতের কাজ যেমন তুলে ধরতে পারবেন তেমনি রাজ্যের নির্বাচনের আগে সরকারকে তাঁদের প্রকল্পগুলি তুলে ধরতে সহায়তা করবে। সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক এ প্রসঙ্গে বলেন, 'সম্প্রতি হওয়া এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর আধিকারিকদের প্রত্যেকটি জেলার ব্লকে ছোট ছোট মেলা ও প্রদর্শন করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভরা শীতকালের মাস ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে এই মেলাগুলি করা যায় কিনা তার পরিকল্পনা এখন থেকে করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।’
অন্যান্য বছরে নভেম্বর থেকেই কলকাতায় বিভিন্ন মেলা ও উৎসব শুরু হয়ে যায়। যেখানে লক্ষাধিক দর্শকরা ভিড় জমান। রাজ্যের শিল্পীরা এবং ব্যবসায়ীরা এই মেলায় অংশ নেন এবং তাঁদের পণ্য বিক্রি করেন, যেখান থেকে ব্যাপক বাণিজ্যে শিল্পী ও সরকার উভয়েরই লাভ হয়। কলকাতার বড় বড় মেলা ও উৎসবগুলির তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে, আন্তর্জাতিক বই মেলা, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (কেআইএফএফ), হস্তশিল্প মেলা, বাণিজ্য মেলা ও খাদ্য উৎসব। প্রত্যেক বছর জানুয়ারিতে ভারতের সবচেয়ে বড় কুম্ভ মেলার পর এ রাজ্যে দ্বিতায় সর্ব বৃহৎ সাগর মেলা হয়, যেখানে অগণিত পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, 'গঙ্গা সাগর মেলার প্রস্তুতি যেখানে শুরু হয়ে গিয়েছে, সেখানে কেআইএফএফ জানুয়ারিতে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বই মেলা নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা করা হয়নি।’
মুখ্যমন্ত্রী পর্যটক বিভাগ ও এমএসএমই দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে আগামী কয়েক মাসে পর্যটনকেন্দ্রগুলির আশেপাশে ছোট ছোট মেলা আয়োজন করা যায় কিনা তা সন্ধান করতে। সরকারিভাবে বলা হয়েছে, 'এটা শুধু পর্যটনকে প্রচার করবে তা নয় এর সঙ্গে এটা স্থানীয় শিল্পীদেরও সহায়তা করবে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর কিছু মেলা শুরু করেছে।’

বাইডেনকে শুভেচ্ছা প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার, বিদায়বেলাতেও খোঁচা খেলেন ট্রাম্প