বড়সড় মাওবাদী হামলার আশঙ্কা! জঙ্গলমহল জুড়ে জারি HIGH ALERT
রাজ্যে পরিবর্তনের পর থেকে সেভাবে মাওবাদী কার্যকলাপ দেখা যায়নি। কিন্তু নতুন করে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে মাও তৎপরতা। সম্প্রতি জঙ্গলমহল বনধের ডাক দেওয়া হয় মাওবাদীদের তরফে। যা যথেষ্ট সফলও হয়েছিল। এই অবস্থায় নতুন করে বড়সড় নাশকতার আশঙ
নতুন করে আশঙ্কা বাড়ছে জঙ্গলমহলে। রাজ্যে পরিবর্তনের পর থেকে সেভাবে মাওবাদী কার্যকলাপ দেখা যায়নি। কিন্তু নতুন করে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে মাও তৎপরতা। সম্প্রতি জঙ্গলমহল বনধের ডাক দেওয়া হয় মাওবাদীদের তরফে। যা যথেষ্ট সফলও হয়েছিল। এই অবস্থায় নতুন করে বড়সড় নাশকতার আশঙ্কা।
আর সেই আশঙ্কা থেকেই জঙ্গলমহল জুড়ে জারি হল HIGH ALERT জারি করা হল। আগামী ১৫ দিন থেকে একমাস এই হাই অ্যালার্ট জারি থাকবে বলে জানা গিয়েছে। আর এরপরেই সেখানকার সমস্ত উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এমনকি পুলিশ প্রশাসনকে অ্যালার্টে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে এই বিষয়ে রাজ্যকে অবগত করা হয়েছে বলে জানা যায়। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে জঙ্গলমহলে বড়সড় হামলা চালাতে পারে মাওবাদীরা। মাওবাদীদের টার্গেটে বিভিন্ন থানা সহ একাধিক রাজনৈতিক নেতারাও হতে পারেন বলে ইতিমধ্যে সতর্ক করা হয়েছে। এমনকি রাজনৈতিকদের নেতাদের বাড়ি টার্গেট করেও মাওবাদীদের হামলা হতে পারে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আর এরপরেই জঙ্গলমহল জুড়ে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যেখানে পুলিশের ছুটি বাতিলের পাশাপাশি নেতাদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের তাঁরা যাতে না ছাড়েন। এমনকি পুলিশকর্মীরা ছুটিতে থাকলে, নিজেদের থানায় রিপোর্টিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থানায় না জানিয়ে পুলিশকর্মীরা কোথায় যেতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত প্রশাসনকেও এই বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। আর এরপরেও জঙ্গলমহল জুড়ে চূড়ান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গাতে নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশিও চালানো হয়েছে।
যদিও এই সতর্কতার ব্যাপারে প্রশাসনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে এহেন ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে জঙ্গলমহল এলাকায়। বলে রাখা প্রয়োজন, জঙ্গলমহলে নতুন করে মাওবাদী তৎপরতা শুরু'র ইঙ্গিত গত কয়েকদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল। লাগাতার মাওবাদীদের নামে হুমকি পোস্টার পড়া থেকে শুরু করে সম্প্রতি ল্যান্ডমাইন উদ্ধারকে কেন্দ্র করে বিষয়টি আরও জোরদার হয়।
সম্প্রতি জঙ্গলমহল বনধের ডাক দেওয়া হয় মাওবাদীদের তরফে। কেউ না মানলে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই বনধের দারুন একটা প্রভাব পড়ে। যা যথেষ্ট উদ্বেগে ফেলে দেয় প্রশাসনের আধিকারিকদের। আর এরপরেই এই সতর্কবার্তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।