বিজয়ার দিন নাড়ু-মালপো নাকি সন্দেশ-রসোগোল্লা, কোন মিষ্টিতে বেশি মজছে বাঙালি
শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। সিঁদুর খেলা , কোলাকুলির মধ্য দিয়ে আজ দিকে দিকে পালিত হচ্ছে বিজয়া দশমী।
শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। সিঁদুর খেলা , কোলাকুলির মধ্য দিয়ে আজ দিকে দিকে পালিত হচ্ছে বিজয়া দশমী। বিজয়ার বিকেল মানেই পাড়ার ঠাকুর বিসর্জন, হইচই, আর তার পরেই সেজেগুজে ধোপ দুরস্ত জামা পরে বড়দের প্রমাণের পর্ব। চিরাচরিত এই রীতিতে অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে থাবা বসিয়েছে হোয়্যাটস অ্যাপ মেসেজ কিংবা টেলিফোন। তবে, দাদু-ঠাকুমাদের পা ছুঁতেই পাত সাজিয়ে মালপো-নাড়ু-নিমকি পাওয়ার স্বাদ... এককথায় অতুলনীয়। বাঙালির পাতে আজ পড়তে চলেছে রসনা তৃপ্তির বহু নমুনা। শহরের নামী দোকানে ইতিমধ্যেই লেগে গিয়েছে মিষ্টি কেনার ভিড়। দেখে নেওয়া যাক বিজয়ায় বাঙালির মিষ্টি-পর্ব।
নাড়ু-মালপো
ঠাকুমা কিংবা দিদিমার হাতের তৈরি মালপো বা নাড়ুর স্বাদ বিজয়ার পরম প্রাপ্তি। এযুগে সেই প্রাপ্তি থেকে অনেকি বঞ্চিত। তবে বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে মালপোর কেনার লাইন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
বলরাম মল্লিক-রাধারাম মল্লিক
কলকাতার এই প্রাচীন মিষ্টির দোকান বালারাম মল্লিক ও রাধারমন মল্লিকে অনেক ধরনের ফিউশন মিষ্টির আইটেম পাওয়া যায়। তবে 'জল ভরা' সন্দেশ এই দোকানের সবচেয়ে বিখ্যাত মিষ্টি।
গিরীশ চন্দ্র দে অ্যান্ড নকুড় চন্দ্র নন্দী
যে মিষ্টি অন্যান্য় সময়ে ১৫ থেকে ২০ টাকায় পাওয়া যেত , তা আজ ৩০ টাকার অঙ্ক ছুঁয়েছে। তবে এই দোকানের নলেনগুড়ের মিষ্টি, চকোলেট মিষ্টি বিজয়াতে বেশ চাহিদায় রয়েছে।
কে সি দাস
বিজয়ার দিন যদি অতিথির পাতে রসোগোল্লা রাখতেই চান, তাহলে অবশ্যই তার শ্রেষ্ঠ ঠিকানা কেসি দাস। পাশাপাশি এই দোকানের নলেরগুড়ের রোল, ল্যাংচা আপনি খেয়ে দেখতে পারেন৷
বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক
গন্ধরাজ সন্দেশ, রাবড়ি ছাড়াও এই দোকানের ছানার পায়েস ও রসোগোল্লা আজ রয়েছে তুমুল চাহিদায়।