কাঁকসার জঙ্গলে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বনদফতর
কাঁকসার জঙ্গলের রাস্তায় অবৈধ ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বনদফতর। বনদফতরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কোনওরকম অবৈধ ভারী যান চলাচল নয়। অবৈধ বালি বোঝাই লরি যাতায়াত বন্ধে কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিন কাঁকসার দেউলে ট্রেকিং করা পর্যটকদের বিশ্রামাগার উদ্বোধনে এসে এমনই কড়া বার্তা দিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি পর্যটক টানতে দেউলকে আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কাঁকসার জঙ্গলমহল বলতে শিবপুর, মলানদীঘি, বনকাটি। ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর। শাল, মহুয়া, আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, শিমূল, সেগুন, নিম, হরিতকি সহ নানান গাছ গাছড়ার সমাহার। দূষণমুক্ত ঘন জঙ্গল যেমন তেমনই রয়েছে জঙ্গলে হরিণ উদ্যান, ময়ূর সহ নানান পশু পক্ষীর আবাস স্থল। আবার মাঝে মধ্যে গজরাজেরও আগমন হয় এই জঙ্গলে। এরকম যদি মনোরম পরিবেশ হয়। এসবের মাঝে সবুজ অরণ্যকে উপভোগ করতে উদ্যোগ নেয় পূর্ব বর্ধমান আঞ্চলিক বনবিভাগ। শিবপুর-দেউল জঙ্গলে পর্যটকদের পায়ে হেঁটে ট্রেকিং ব্যবস্থা করেছে বনবিভাগ।
সম্প্রতি দেউল জঙ্গলের রাস্তা বেহাল দশায়। কোথাও বড় বড় গর্ত হয়ে জলাশয়ের আকার নিয়েছে। আবার কেথায় গর্ত ভরাট করে লরি যাতায়াতের সুবিধার জন্য কারখানার কালো ছাই ফেলা হয়েছে। অভিযোগ অজয় নদীর দেউল ঘাট থেকে বালি বোঝাই লরি, ডাম্পার ওই রাস্তা দিয়ে আনাগোনা করে। বেশিরভাগই যাতায়াত করে রাতের অন্ধকারে। আর তাতেই বিপন্ন সবুজ বনানীর বুক চিরে যাওয়া লাল রাস্তা। আর প্রশ্ন এখানেই। যে জঙ্গলের সৌন্দর্যকে দেখতে রাজ্য বনদফতর ট্রেকিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে জঙ্গলের ওভারলোডিং বালি বোঝাই লরি ডাম্পার যাতায়াত করে কিভাবে?
এদিন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তায় জানান, 'জঙ্গলের রাস্তায় কোনরকম অবৈধ ভারী যান চলাচল নয়। অবৈধ বালির কারবার বন্ধ করতে হবে। জঙ্গলের রাস্তা যাতে নষ্ট না হয় তারজন্য অবৈধ বালি বোঝাই লরি যাতায়াত বন্ধে কড়া হাতে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। যাতে সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারে। জঙ্গলের পশুপক্ষীদের কোনও সমস্যা না হয়। সেটাও নজর রাখা হবে।' তিনি বলেন, 'স্থানীয় জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার জন্য বলব, যাতে অবৈধ বালির লরি যাতায়াত বন্ধ হয়।'