দক্ষিণবঙ্গে পুজো মাটি করে উত্তরবঙ্গ ভাসাচ্ছে বৃষ্টি, ভাঙল রক্তি নদীর ব্রিজ, পাহাড়ে ধস, জলমগ্ন সমতল
কলকাতা ও শিলিগুড়ি, ১২ অক্টোবর : পুজোয় দক্ষিণবঙ্গে ঘাঁটি গেড়েছিল ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে নবমী-দশমীর আনন্দ মাটি করে ছেড়েছিল বৃষ্টি। এবার প্রবল বৃষ্টির প্রকোপ উত্তরবঙ্গে। ব্যাপক বৃষ্টির জেরে পাহাড়ে ধস নামতে শুরু করেছে। সমতল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বাড়ছে নদীর জলস্তর।
এই অবিশ্রান্ত বৃষ্টির মধ্যেই পাহাড়ে ভেঙে পড়ল রক্তি নদীর উপরের একটি অস্থায়ী ব্রিজ। ব্রিজ ভেঙে পড়ার জেরে ব্যাহত হয়েছে যান চলাচল। মিরিকে যাওয়ার পথে ওই ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় রাস্তা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে পর্যকদের গাড়ির। শিলিগুড়ির পানিঘাটা রোড দিয়ে আপাতত গাড়ি চালানো হচ্ছে।
তারপর আবার দার্জিলিং ও মিরিকে ধস নামতেও শুরু করেছে। ফলে শেষ ল্যাপে পাহাড়ে পর্যটকদের আনন্দ মাটি করতে তৈরি বর্ষাসুর। প্রবল বৃষ্টির জেরে শুধু পাহাড়ই নয়, সমতলেও বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শিলিগুড়ির ঘোষপুকুর, ফাঁসিদেওয়া ও বাগডোগরার কিছু অংশ জলমগ্ন। জলবন্দি হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ত্রাণ বিলি শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে মিলেছে স্বস্তির খবর। বৃষ্টির পরিমাণ বুধবার রাত থেকে খানিক কমতে পারে। টানা বৃষ্টিতে বেড়েছে উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর। এরই মধ্যে বিপত্তি জলঢাকা নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় এক পর্যটক। নিখোঁজ পর্যটকের নাম আরমান কবীর (১২)। উত্তর ২৪ পরগনার নজরনগরের বাসিন্দা ওই নাবালক পরিবারের সঙ্গে পাহাড়ে বেড়াতে এসেছিল। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এদিকে কলকাতাতে আজও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। পুরোপুরি মেঘমুক্ত নয় আকাশ। ঘূর্ণাবর্ত এখনও পশ্চিম উপকূলে উপস্থিত। তারই জেরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত।