ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির জের, নতুন করে প্লাবিত দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলা
উত্তরবঙ্গে সবে সামলে উঠেছে, এরইমধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বন্য়ার ভ্রুকুটি দেখা দিল, ঝাড়খণ্ডে ডিভিসির ছাড়া জলে নতুন করে প্লাবিত হল দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলা
উত্তরবঙ্গে সবে সামলে উঠেছে, এরইমধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বন্য়ার ভ্রুকুটি দেখা দিল। ঝাড়খণ্ডে ডিভিসির ছাড়া জলে নতুন করে প্লাবিত হল দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলা। একদিকে অজয় নদের জলস্তর বেড়ে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে। অপরদিকে বীরভূমের মহম্মদবাজারে জলের তোড়ে রাস্তা ধুয়ে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ১০টারও বেশি গ্রাম।
এদিকে অজয় নদের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলকোটের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার আশঙ্কায় নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে কেতুগ্রাম ব্লকের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের। অপরদিকে ডিভিসির জল ছাড়ায় ফুঁসছে ভাগীরথীও। জল বিপদসীমা অতিক্রম করায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কাটোয়ায় ফেরি পরিষেবা। ফলে নদিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ব্লকেরও বহু জায়গা জলমগ্ন।
এদিকে অজয় নদের জলে প্লাবিত বাঁকুড়ারও বিস্তীর্ণ এলাকা। কৃষি জমি জলে ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। দামোদরের জলস্তর বেড়ে ভেসে গিয়েছে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। মাত্র তিনমাস আগেই একবার বন্যা হয়ে গিয়েছে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে। এদিকে ময়ূরাক্ষীর জলে নদীবাঁধ ভেঙে পড়েছে মুর্শিদাবাদে। জল বইছে ভরত- কান্দি রাজ্যসড়কের ওপর দিয়ে।
মূলত ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির জেরে বিভিন্ন জলাধারগুলি থেকেই জল ছাড়া হয়েছে। যার ফলে এরাজ্যে ময়ূরাক্ষী, কোপাই, হিংলা, কুনুরের মত ছোট নদীগুলিও ফুঁসছে। কালীপুজোর পরই ধান তোলার কথা ছিল কৃষকদের। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে, জলের তলায় চলে গিয়েছে পাকা ফসল। এই অবস্থায় মাথায় হাত কৃষকদের। অপরদিকে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।