কলকাতা ও হাওড়ায় করোনা মোকাবিলায় পরিকল্পনা! গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে ৮ 'পড়ে থাকা' হাসপাতাল
প্রতিদিন রাজ্য লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই তালিকায় কলকাতা প্রথম স্থানে, তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়া। ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই অবস্থা সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে। কিন্তু সরকারের অধীনে থাকা কলকাতা ও হাওড়ায় এখন ৮টি হাসপাতাল রয়েছে, যা কিনা একেবারে ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। যেখানে কিনা করোনার চিকিৎসা শুরু করতে পারে সরকার। এব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে স্বাস্থ্যভবন।

আরজি করের অ্যানেক্স ২ হাসপাতাল
আরজি করে অ্যানেক্স হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল অবিনাশ দত্ত ম্যাটারনিটি হোম এবং কাশীপুর নর্থ সাবার্বান হাসপাতালকে। অবিনাশ দত্ত ম্যাটারনিটি হোমে শয্যা সংখ্যা ১০০। অন্যদিকে কাশীপুর নর্থ সাবার্বান হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৩০০-র মতো। আগে কাশীপুর নর্থ সাবার্বান হাসপাতাল নিয়ে বড় পরিকল্পনা থাকলেও তা আর এগোয়নি বলে জানা গিয়েছে।

মেডিক্যালের অ্যানেক্স স্ট্যান্ড রোডের মেয়ো হাসপাতাল
স্ট্যান্ড রোডের মেয়ো হাসপাতাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যানেক্স হিসেবে ঘোষণা করেছিল সরকার। সেখানে অন্তত ৩০০ শয্যার বন্দোবস্ত হতে পারে। বর্তমানে সেখানে ২০০ টি শয্যার বেশিরভাগেই ধুলো জমে রয়েছে।

এসএসকেএম-এর অ্যানেক্স বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতাল
এসএসকেএম-এর অ্যানেক্স হিসেবে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালকে ঘোষণা করেছিল এই সরকার। সেখানে ৩০০ শয্যার জায়গা রয়েছে। বর্তমানে চালু থাকা ২৫০ শয্যার বেশিরভাগই বেশিরভাগ সময়ই ফাঁকা থেকে যায়।

এনআরএস-এর অ্যানেক্স বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল
এনআরএস-এর অ্যানেক্স হিসেবে রয়েছে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল। সেখানে ২০০ শয্যার বন্দোবস্ত রয়েছে। যা বেশিরভাগ সময় ফাঁকাই পড়ে থাকে।

দক্ষিণ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল
দক্ষিণ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে শয্যা রয়েছে ২০০ টি।
এছাড়াও রয়েছে বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং ভবানীপুরের কলকাতা পুলিশ হাসপাতাল।

করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১১ লক্ষের ঘরে, দ্রুত অ্যান্টিজেন টেস্টে পিছিয়ে বহু রাজ্যই