দ্রুত বেড, অস্কিজেন এবং ওষুধ মজুত করো! থার্ড ওয়েভ আতঙ্কে হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ স্বাস্থ্যভবনের
ভারতে ব্যাপক ভাবে ওমিক্রন ছড়াতে শুরু করেছে। প্রতি মুহূর্তে কার্যত বদলে যাচ্ছে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা। আজ শুক্রবার সংক্রমণের যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে এক হাজার পেরিয়ে গিয়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও কার্যত ছবিটা এক।

রাজ্যেও ভয়ঙ্কর ভাবে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন এবং করোনা।
গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় সংক্রমণ ২০০০ পেরিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় থার্ড ওয়েভের আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। আর এই অবস্থায় শহরের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক সারল স্বাস্থ্য দফতর। পরিস্থিতি ভালো না, তা ভালো বুঝতে পেরেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
আর তাই সর্বস্তরে প্রস্তুতি সারতে চাইছেন আধিকারিকরা। আর সেজন্যেই এই বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় ঘন্টাখানেকের বেশী সময় ধরে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক হয় স্বাস্থ্য দফতরের।
বৈঠকে হাসপাতালগুলিকে তৈরি হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ কমে যাওয়ার কারনে অনেক বেসরকারি হাসপাতালেই কোভিড ওয়ার্ড বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু নতুন করে সেই সমস্ত ওয়ার্ড চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ৩০ শতাংশ বেড প্রস্তুত করার নির্দেশ। প্রয়োজনে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড তৈরি রাখার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও ওষুধ থেকে অক্সিজেন সহ অন্যান্য মেডিক্যাল সরঞ্জাম দ্রুত মজুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। প্রয়োজনে নতুন করে হাসপাতাল কর্মীদের ট্রেনিং দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। অন্যদিকে আগামী তিন তারিখ থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে।
কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী কোভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। এদিনের এই বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এই কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোভ্যাক্সিন যাতে যথাযথ ভাবে মজুত থাকে সে বিষয়টিকেও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে করোনা পরীক্ষা করা হয় এমন ল্যাবগুলিকে দ্রুত পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সমস্ত আপডেট স্বাস্থ্য দফতরকে দ্রুত জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বেড়ে যাবে। এমনকি প্রত্যেকদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন বলেও পূর্বাভাস স্বাস্থ্যদফতরের। সেখানে দাঁড়িয়ে কলকাতার হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো দ্রুত তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখে জেলার হাসপাতালগুলিকেও তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কলকাতা পুরসভাতেও উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক শুরু হয়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে এই বৈঠক শুরু হয়েছে। কলকাতায় করোনা এবং ওমিক্রন রুখতে কি ব্যবস্থা তা নিয়েই আলোচনা করা হচ্ছে।