একাধিক বিষয়ে অভিযোগের পর তদন্ত, কলকাতার তিন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা স্বাস্থ্য কমিশনের
গতমাসেই রোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শহরের তিন বেসরকারি হাসপাতালে (private hospitals of Kolkata) রোগী ভর্তি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য কমিশন (health commission)। এরপর ওই তিন হাসাপাতালে গিয়ে তদন্ত করেন
গতমাসেই রোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শহরের তিন বেসরকারি হাসপাতালে (private hospitals of Kolkata) রোগী ভর্তি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য কমিশন (health commission)। এরপর ওই তিন হাসাপাতালে গিয়ে তদন্ত করেন স্বাস্থ্য কমিশনের প্রতিনিধিরা। তার পরেই সেখানকার পরিষেবায় ঘাটতির কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যভবনে (swastha bhawan) রিপোর্ট জমা দিয়েছে কমিশন। রিপোর্ট তিন হাসাপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগ ওঠার পরেই রোগী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ
অভিযোগ
উঠেছিল
আগেই।
একটি-দুটি
নয়,
একাধিক
অভিযোগ
জমা
পড়েছিল
স্বাস্থ্য
কমিশনে।
গতমাসে
করোনার
দ্বিতীয়
তরঙ্গ
সেই
সময়
শিখরে।
স্বাস্থ্য
কমিশনের
চেয়ারম্যান
প্রাক্তন
বিচারপতি
অসীম
বন্দ্যোপাধ্যায়
জানিয়েছিলেন,
অভিযোগের
কারণ
অনুসন্ধানে
কমিশনের
সচিব
চিকিৎসক
প্রদীব
মুখোপাধ্যায়ের
সঙ্গে
যোগাযোগ
করেছেন।
সেই
সময়
রোগী
ভর্তি
বন্ধের
নির্দেশ
দিয়ে
২৪
ঘন্টা
সময়
দিয়ে
কারণ
জানতে
চাওয়া
হয়েছিল।
যদিও
পরবর্তী
সময়ে
কমিশনের
কাছে
করোনা
পরিস্থিতির
কথা
বিবেচনা
করে
১৫
লক্ষ
টাকা
স্বাস্থ্য
কমিশনের
কাছে
জমা
রেখে
রোগী
ভর্তির
অনুমতি
দেওয়া
হয়।
সমস্ত
নির্দেশিকা
মেনে
হাসপাতাল
চালানোর
নির্দেশও
দেওয়া
হয়।
তিন হাসপাতাল, মালিকানা একই
স্বাস্থ্য কমিশন যে তিন হাসপাতালে বিরুদ্ধে তদন্ত করে, সেই তিন বেসরকারি হাসপাতাল একই মালিকানায়। হাসপাতালগুলি হল, পার্ক সার্কাসের গুড সামারিটান, নিউ টাউনের নতুন হাসপাতাল উজ্জীবন এবং বেহালার জেমস লং সরণীতে অ্যাপেক্স হাসপাতাল।
হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ
রোগী থেকে রোগী আত্মীয় সবারই অভিযোগ ছিল, হাসপাতালগুলিতে সরকারি নিয়ম ভেঙে প্যাথলজিতে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে। অ্যাপেক্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যান করার। পাশাপাশি রোগী পরিবারের সদস্যের শ্লীলতাহানি ও বাজে ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছিল। বেশ করে টাকা নেওয়া, জোর করে টাকা আদাদের অভিযোগ জমা পড়েছিল এই তিন হাসপাতালে বিরুদ্ধে। পাশাপাশি গুড সামারিটান ও উজ্জীবনে লিফট না থাকার অভিযোগও উঠেছিল। শুক্রবার এই তিন হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শুরু করে কমিশন। শুনানির চলতেই হাসপাতালগুলির তরফে এক রোগীর পরিবারকে ৭০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে পাঁচটি মামলায় ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা ফেরতে রাজি হয় কর্তৃপক্ষ।
তদন্তে যেসব তথ্য উঠে এসেছে
স্বাস্থ্য কমিশনের তদন্তে তিন হাসপাতালের বিরুদ্ধে যেসব তথ্য উঠে এসেছে, তার মধ্যে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সেই কারণে এই হাসপাতালের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য কমিশন। তবে এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্য ভবন।
'আঙ্কেলজি'র সঙ্গে 'দাদু'র সাক্ষাৎ, ধনখড়ের সঙ্গে দেশের এই শীর্ষ পদাধিকারীকে নিশানা করলেন মহুয়া মৈত্র