সুন্দরবন এ দুর্গতদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির
সুন্দরবন এ দুর্গতদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির
করোনার যুদ্ধের মধ্যে আর এক যুদ্ধে শামিল চিকিৎসকরা। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে 11 জন সরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে চিকিৎসাপরিষেবা দিয়েছে যাচ্ছে সুন্দরবন মানুষকে। বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক এর বাঁকড়া গ্রামে রীতিমত স্বাস্থ্য শিবির খুলে দুর্গতদের চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ ।
পাশাপাশি নতুন বস্ত্র ত্রাণের ব্যবস্থা করছে চিকিৎসকরা ।যতদিন পর্যন্ত আমফান থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় না ফিরবে সুন্দরবনের মানুষ ।ততদিন তারা এই পরিষেবা দিয়ে যাবে। আম্ফানের পর পর্যাপ্ত ত্রাণ পেলেও চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত সুন্দরবনের মানুষ।
তাই বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ওষুধ সামগ্রী নিয়ে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ালো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসরদের তিনটি সমাজসেবী সংগঠন। একদিকে যেমন করোনা প্রতিরোধে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে লকডাউনের জেরে শহরমুখী হতে না পারা। অন্যদিকে, আম্ফানের তাণ্ডব কেরে নিয়েছে সবকিছুই। অন্যান্য শারীরিক অসুবিধা তো রয়েছেই। তার ওপর বন্যার পর থেকে লেগেই থাকে ডায়রিয়ার, ম্যালেরিয়া মতো জল বাহিত রোগ।
সেই আশঙ্কায় সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির ও ওষুধ বিতরণের কাজ করে চলেছে এই সমাজসেবী সংগঠনগুলো। শুধু স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা ওষুধ বিতরণী নয় তিনটি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে সুন্দরবনবাসীর হাতে তুলে দেওয়া হল চাল, ডাল, তেল, নুন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও বেশ কিছু শুকনো খাবার।
এছাড়াও মহিলাদের জন্য দেওয়া হলো কিছু বস্ত্র। রবিবার হিঙ্গলগঞ্জের বাঁকরায় স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই স্বাস্থ্য শিবিরে আসেন বাচ্চা, মহিলা, গ্রামের বয়স্ক মানুষরা। শুধু এদিনই নয় আগামী দু মাস ধরে লাগাতার এই পরিসেবা চালিয়ে যাবেন বলে জানান সংগঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা আতাউর রহমান। এর আগেও সুন্দর বনের দক্ষিণ 24 পরগনার গোসোবা, ক্যানিং সহ বিভিন্ন এলাকায় তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির এর অন্যতম আয়োজক ইকবাল আহ্মেদ মুকুল জানান, দুমাসের উপর লকডাউন। আমাদের রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে একদিকে যেমন খাদ্যের অভাব, অন্যদিকে অসুস্থ হলে নেই চিকিৎসার ব্যবস্থা। এইরকম পরিস্থিতিতে গ্রামের মানুষের জন্য এই রকম পরিষেবা খুবই দরকারি। চিকিৎসক সংগঠনকে পাশে পেয়ে গ্রামবাসীরাও খুবই উপকৃত হয়েছেন।
করোনা আবহে চিকিৎসা না পেয়ে আত্মঘাতী একই পরিবারের ৩ জন