অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধে স্কুল খুলে শিক্ষা দপ্তরের রোষানলে প্রধান শিক্ষক
অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধে স্কুল খুলে শিক্ষা দপ্তরের রোষানলে প্রধান শিক্ষক
দেখতে দেখতে একটা শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষ হতে চলল। পড়াশুনোর সিকি ভাগও এগোয়নি ছাত্র-ছাত্রীদের। রাজ্য শিক্ষা দফতর স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেয়নি এখনও। এই অবস্থায় রাজ্যের শিক্ষকরা যখন বাড়িতে বসে সরকারের সম্পূর্ণ বেতন নিচ্ছে বলে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ হচ্ছেন বিভিন্ন মহলে, সে সময় ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের অনুরোধে স্কুল খুলে শিক্ষা দফতরের রোষানলের মুখে পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার দাসপুর-১ এর 'হাট সরবেড়িয়া বিধান চন্দ্র রায় উচ্চ বিদ্যালয়' দশম শ্রেণীর মোট ১৫০ জনের মধ্যে স্কুলে এসেছিল ৫০ জন। তাতেও স্কুলের রোষানলের মুখে পড়লেন স্কুলেরর প্রধান শিক্ষক বৃন্দবন ঘটক। ঘটনায় হৈ চৈ পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের তোপের মুখে এই শিক্ষক মহাশয়!
তিনি
জানান,
বেশ
কিছুদিন
ধরেই
ছাত্র-ছাত্রী
আর
অভিভাবকদের
পক্ষ
থেকে
একটা
অনুরোধ
আসছিল
যে
দশম
শ্রেণির
ক্লাসটা
অন্তত
চালু
করা
হোক।
সেই
নিয়ে
পরীক্ষামূলক
ভাবে
দূরত্ব
বজায়
রেখে,
সব
ধরনের
সাবধানতা
অবলম্বনে
পরীক্ষা
মূলক
ক্লাস
করে
দেখছিলাম।
শিক্ষকরা
পাঠদান
করেছে,
এতে
অন্যায়
এর
কি
আছে?'
যদিও
প্রশ্ন
উঠছে
জীবনের
ঝুঁকি
নিয়ে
পাঠদানটা
কি
এখন
খুবই
জরুরি!
এনিয়ে তৃণমূল শিক্ষা সেলের রাজ্য নেতা সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন 'নিজের হাতে রীতিমতো ঝুঁকি তুলে নেওয়াটা ঠিক হয়নি। গোটা দেশ রাজ্য, কেন্দ্রের শিক্ষা দফতরের শিক্ষাবিদরা এই নিয়ে পর্যালোচনা করছে, সেখানে এই মারাত্মক ঝুঁকি উনি নিলেন কেন? প্রশাসনের যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
মহকুমা শাসক অসীম পাল বলেন, 'জীবনের থেকে কি শিক্ষার দাম বেশি? এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র ছাত্রীদের কিছু হয়ে গেলে তার দায়-ভার কে নেবে? আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছি প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
যৌন লালসার শিকার ১৩ বছরের নাবালিকা, শেষে শ্রীঘরে স্থান বাবার