ফের পাহাড়ে ঢোকার বার্তা গুরুং-এর, চকবাজারে পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা
দার্জিলিং-এর চকবাজারে হাতে লেখা পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা। পোস্টারে গুরুং-এর পাহাড়ে আসার বার্তা। পোস্টারে নেপালি ভাষায় লেখা, আমি দার্জিলিং-এর ঢুকব। যদিও পুলিশ পরে এই পোস্টার সরিয়ে দেয়।
দার্জিলিং-এর চকবাজারে হাতে লেখা পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা। পোস্টারে গুরুং-এর পাহাড়ে আসার বার্তা। পোস্টারে নেপালি ভাষায় লেখা, আমি দার্জিলিং-এর ঢুকব। যদিও পুলিশ পরে এই পোস্টার সরিয়ে দেয়।
পাহাড়ে আসতে চলেছেন গোর্খা জনমুক্তির নেতা বিমল গুরুং। চকবাজারে এমনই একটি পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। তাতে নেপালি ভাষায় লেখা ছিল, আমি দার্জিলিং-এ ঢুকব। বিষয়টি নিয়ে মোর্চা নেতা রোশন গিরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি। এর আগেই পোস্টারের মাধ্যমে গুরুং জানিয়েছিলেন ৩০ অক্টোবর পাহাড়ে ঢুকবেন। পরে অবশ্য জানানো হয় তিনি আসছেন না।
দার্জিলিং-এর টানা বনধ চলাকালীন একাধিক হিংসা ও অন্গিন সংযোগের ঘটনা ঘটে। সেই সময় গুরং-এর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করে রাজ্য সরকার। এরপর থেকে বেপাত্তা বিমল গুরুং। প্রথমে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সমর্থকদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেও, পুলিশি নজরদারি ফলে পরে আসতে থাকে অডিও বার্তা।
এরই মধ্যে ১৩ অক্টোবর গুরুম-এর পাহাড়ে ঢোকার খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিশ। গুরুংপন্থীদের সঙ্গে গুলির লড়াই-এ প্রাণ যায় এসআই অমিতাভ মালিকের। খুনের সঙ্গে য়য়ুক্ত থাকার অভিযোগের একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরকমই দুজন হলেন সুনজিৎ তামাং এবং জম্বর প্রধান। তাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে ছদ্মবেশে পাহাড়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন গুরুং। সেই সময় অডিও বার্তাতেও গুরুং জানান, ৩০ অক্টোবর পাহাড়ে ঢুকছেন তিনি। পরে অবশ্য অবস্থান পরিবর্তন করেন বিমল গুরুং।
পাহাড় থেকে সাত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হলেও বিমল গুরুংকে পাকড়াও করতে নিরাপত্তা বেষ্টনিতে পাহাড়। রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চলছে তল্লাশি। গুরুং-এর সমর্থকদের ঘাঁটিগুলিতেও চলছে কড়া নজরদারি।