কাজ করতে গেলে টেনে ধরা হচ্ছে! তৃণমূল সমর্থক বেসুরো বিধায়ককে নিয়ে শুরু দলবদলের জল্পনা
দলের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলের (trinamool congress) আরও এক বিধায়ক (mla)। সংবাদ মাধ্যমকে ওই বিধায়ক অভিযোগ করেছেন, দলের মধ্যে তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। বিষয়টি তিনি শীর্ষ নেতৃত্বকেও জানিয়েছেন। যদিও এই বিধায়কের হুঁশিয়ারিতে চিন্তিত নয় নেতৃত্ব, জানিয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি।

কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ
সাংবাদ মাধ্যমের সামনে অভিযোগ করতে গিয়ে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল অভিযোগ করেছেন কাজ করতে গেলে পিছন থেকে টেনে ধরা হচ্ছে। তাঁকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন ওই বিধায়ক। শ্রমিক সংগঠনে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হলে শ্রমিক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে, শ্রমিক স্বার্থ সম্পর্কিত যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে দিতে পারতেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।

নষ্ট হচ্ছে দলের ভাবমূর্তি
নিজের অভিযোগ জানাতে গিয়ে বিশ্বনাথ পাড়িয়াল অভিযোগ তুলেছেন দলের একাংশের দিকে। তিনি বলেছেন, এইভাবে চলতে থাকলে জনগণের কাছে ভুলবার্তা যাবে। তাঁর অভিযোগ বিভিন্ন কারখানায় শ্রমি ক সমস্যা জিইয়ে রেখে দলের নেতারাই দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন।

দুর্গাপুর জুড়ে আলোড়ন
দুর্গাপুর পশ্চিমের এই বিধায়ক আরও বলেছেন সামনেই নির্বাচন, এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। তাঁর এমন মন্তব্যকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে কি তিনি, নির্বাচনের আগে ফের দলবদল করবেন, সেই জল্পনাও ভাসছে শিল্পশহরে। যদিও এই বিধায়ক জানিয়েছেন, তিনি দলের অনুগত সৈনিক। তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন ওই বিধায়ক।

বিধায়কের পরিচিতি
এলাকায় বরাবর তৃণমূলের নেতা হিসেবেই পরিচিত বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। কিন্তু ২০১৬-র নির্বাচনের আগে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন এবং কংগ্রেস ও বাম প্রার্থী হিসেবে দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। ২০১৭-তে তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা জানান। যদিও তিনি সরকারি ভাবে কংগ্রেসের বিধায়ক।

চিন্তিত নয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব
তবে বিধায়কের এইসব কথায় চিন্তিত নয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিধায়কের কথা শোনা হবে। তাঁর পরামর্শ মেনে কাজও করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বেসুরো বিধায়কদের নিয়ে চিন্তিত তৃণমূল
এর আগে বেসুরো হয়েছিলেন কোচবিহার দক্ষিণের বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ তাঁর বাড়িতে গিয়ে বোঝালেও তিনি দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ। অন্যদিকে ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্তও বেসুরো। এদিন তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোরের টিমের দুই সদস্য। তিনি জানিয়েছেন, দলের কেউ এলে ভাল হত। তবে জানিয়েছেন, এখন নির্বাচনে না লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত তিনি অনড় রয়েছেন।

পিএম কেয়ারসের টাকা কোথায় গেল? আম্ফানদুর্নীতির অভিযোগের পাল্টা আক্রমণ মমতার