তুষার-বৃষ্টি পাহাড়ে, শেষ ইনিংসে শীতের দাপুটে ব্যাটিংয়ে কাঁপছে দার্জিলিংয়ের সমতলও
পাহাড়ে ব্যাপক তুষারপাত হয়েই চলেছে। শ্বেত-শুভ্র বরফের চাদরে মুড়েছে দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সেইসঙ্গে সমতলে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শেষ বেলায় দাপুটে ইনিংস খেলছে শীত।
পাহাড়ে ব্যাপক তুষারপাত হয়েই চলেছে। শ্বেত-শুভ্র বরফের চাদরে মুড়েছে দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সেইসঙ্গে সমতলে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শেষ বেলায় দাপুটে ইনিংস খেলছে শীত। তুষারপাত আর বৃষ্টির জেরে কাঁপুনি অব্যাহত ফেব্রুয়ারির শুরুতেও। তবে এবার দার্জিলিংয়ের বরফ পর্যটকদের মন ভরিয়ে দিয়েছে।
বরফের চাদরে মোড়া দার্জিলিং
পৌষের মাঝামাঝি প্রচণ্ড শীতে দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল থেকে শুরু করে সান্দাকাফু বরফ দেখা গিয়েছিল। আর মাঘের মাঝামাঝি দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের পাহাড়ি এলাকা পুরোটাই বরফের চাদরে ঢেকে গেল। টাইগার হিল, থেকে সান্দাকাফু, ঘুম, সিংমারি, সোনাদা এবং কার্শিয়াংয়ের আপার বাগোরা এলাকায় ছেয়ে গেল তুষারে। কালিম্পংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকাও বরফের চাদরে মোড়া।
দার্জিলিং ও কালিম্পংয়েই নয়, সিকিমেও বরফ পড়ল
শুধু দার্জিলিং ও কালিম্পংয়েই নয়, সিকিমেও বরফ পড়ল শনিবার। সিকিমের লাভা এবং ঋষপেও তুষারপাত হল। লাচেং থেকে লাচুং বরফে ঢাকল এদিন। এর ফলে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল ব্যহত হয়। ঘুম থেকে সোনাদা, তিন মাইল ও সুখিয়াপোখরির মধ্যে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এবছর সাতবার বরফের চাদরে ঢাকল দার্জিলিং
তুষারপাতের জেরে দার্জিলিংয়ে এদিন জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। এবছর, সাতবার বরফের চাদরে ঢাকল দার্জিলিং। ২০ বছর পর একইসঙ্গে টাইগার হিল, সান্দাকাফু, ঘুম, কালিম্পং ও কার্শিয়াংয়ে বরফ পড়ল। এদিনও দার্জিলিংয়ে কনকনে ঠান্ডা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাত্র ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলংয়ের সমতলে শুরু হয়েছে বৃষ্টিও।
২০ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি দার্জিলংয়ে
একদিকে তুষারপাত, অন্যদিকে বৃষ্টির ফলে দার্জিলিংয়ের সমতল থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা। উত্তরে শীতের কামড় সাংঘাতিক রূপ নিয়েছে। ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় উত্তরবঙ্গবাসীর। মাত্র ৪০ দিনের মধ্যে সাত বার তুষারপাত হয়েছে। এটা বাৎসরিক রেকর্ড। ২০ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি দার্জিলংয়ে।
ফের তুষারপাত হলে ১৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে যাবে
আবহবিদরা জানিয়েছেন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হিমালয় লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করায় তাপমাত্রার এই পরিবর্তন। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে যদি ফের তুষারপাত হয় তবে ১৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে যাবে। পরিস্থিতি যা এবার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করতে পারে পাহাড়ে তুষারপাতের ঘটনা।
আরও তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে দার্জিলিংয়ে
২০০৭ সালে শেষবার টানা ১৩দিন তুষারপাত হয়েছিল। এবার এখন পর্যন্ত টানা ১২ দিন তুষারপাত হয়েছে। অর্থাৎ আর ১ দিন তুষারপাত হলেই ১৪ বছরের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবে। আর দুদিন তুষারপাত হলেই ২০০৭ সালের রেকর্ড ভেঙে যাবে। আবহবিদরা জানিয়েছেন আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ধেয়ে আসছে। বুধবার তা জম্মু-কাশ্মীরে আছড়ে পড়বে, তারপর তা পূর্বদিকে ধেয়ে আসবে। ফলে আরও তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে দার্জিলিংয়ে।