তৃণমূলের সংগঠনে থেকেও ভোটে বিজেপিকে সাহায্য! হলদিয়ার শিল্প সংস্থা থেকে শ্রমিক ছাঁটাইদের দাবিতে উৎপাদন বন্ধ
রাজ্য তথা পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের (trinamool congress) জেতার পরে শিল্প সংস্থাকে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ। যা নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) চিঠি দিয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে
রাজ্য তথা পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের (trinamool congress) জেতার পরে শিল্প সংস্থাকে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ। যা নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) চিঠি দিয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংগঠন ফেডারেশন অফ স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম ইন্ডাস্ট্রি বা ফসমি (fosmi)। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও।
কর্মী ছাঁটাই করে নিজেদের লোক নিয়োগের দাবি
ভোটের ফল বেরিয়েছে ২ মে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ৪ মে থেকে হলদিয়ার একাধিক কারখানায় শ্রমিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যার জেরেই বন্ধ উৎপাদন। এমনটাই অভিযোগ শিল্প সংস্থাগুলির। শিল্প সংস্থাগুলিতে বেশ কয়েকজন কর্মীকে ছাঁটাই করে নিজেদের লোক নিয়োগের দাবি তোলা হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে।
শিল্প সংস্থার অভিযোগ
বন্ধ হওয়া শিল্প সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কালিপদ ভুইঞার অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অশোক মাইতি তাদের কাছে দাবি করেছেন কয়েকজন শ্রমিককে বদল করতে হবে। কেননা সেইসব শ্রমিকরা ভোটে বিজেপিকে সাহায্য করেছেন। পরিবর্তে তাদের পছন্দের লোক নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিতেই দেউপোতায় শিল্প সংস্থার প্রবেশ পথ বন্ধ করা হয় এবং তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়। যার জেরে সংস্থায় উৎপাদন বন্ধ। দফায় দফায় আলোচনা করেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সংস্থার তরফে আইএনটিটিইউসির সভাপতি দোলা সেন কেউ জানানো হয়েছে বলে সংস্থার দাবি।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সাফাই
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে অভিযুক্তরা কর্মীরা তৃণমূলের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করে অন্তর্ঘাত করেছেন। প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬ টি আসনের মধ্যে ৯ টি তৃণমূল জিতেছে। তারা হলদিয়ায় পরাজিত হয়েছে বিজেপির কাছে। সেই কারণে যারা বিজেপিকে সাহায্য করেছে, তাঁদের টাইট দিতে চায়। এমনটাই মন্তব্য করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
বন্ধ হলদিয়ার অনুসারি শিল্প
হলদিয়ায় বৃহৎ শিল্পের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর অনুসারী শিল্পও। এমনই দুটি শিল্প প্রতিষ্ঠান গত কয়েকদিন ধরে বন্ধ। যার জেরে শিল্প সংস্থাটি যেমন লোকসানের সম্মুখীন, ঠিক তেমনই কর্মহীন শতাধিক কর্মী। এই অবস্থা চলতে থাকলে এই অনুসারী শিল্পের ওপরে ভরসা করে চালু থাকা এক্সাইডের মতো ব্যাটারি উৎপাদন সংস্থাও বিপাকে পড়তে পারে।
ফসমির চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে
দুটি শিল্প সংস্থা বন্ধের জেরে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংগঠন ফেডারেশন অফ স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম ইন্ডাস্ট্রি বা ফসমি। এই সংগঠনের তরফে মুখ্যসচিবকেও জানানো হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। বলা হয়েছে শিল্পমহলের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। এই সংগঠন বলেছে, যখন অতিমারীতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি সংকটজনক পরিস্থিতিতে, সেই সময় এই ধরনের কাজ শিল্পপতিদের শিল্পস্থাপনে বাধা দেবে।