লকডাউনে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন হাবরার মেয়েদের
লকডাউনে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন হাবরার মেয়েদের
প্লাস্টিক বর্জন করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন ও পরিবেশনের ডাক দিয়েছেন হাবরার গুটি কতক মেয়ে। পাশাপাশি, আগামীতে আরও কিছু মেয়ের অর্থসংস্থান ও স্বনির্ভর করার ভাবনা করেছেন তারা।
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার বাসিন্দা সাংবাদিকতার ছাত্রী সুস্মিতা। লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে বসে সরকারি কোনও সাহায্য ছাড়াই এই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের কাজ শুরু করেন। পরে তার এই কাজে আগ্রহী হয়ে আরও কিছু মেয়ে এগিয়ে আসেন। কাজ শুরু করেন তারা। যেখানে মহিলাদের ব্যবহার যোগ্য কাপড়, পাটের ব্যাগ, গহনা, সাজসজ্জার সরঞ্জাম এই গোষ্ঠীর বর্তমান পন্য। প্রত্যেকটি পন্যই তৈরি হয় প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে। কাপড়, তুলো, পাট, কাঁদা, মাটি ইত্যাদি পরিবেশ বান্ধব উপকরণ দিয়ে গড়ে তোলা হয় পণ্যগুলো।
সুস্মিতা সাধু জানান, 'গোটা কর্মযজ্ঞকে শিউলি ফুলের সাথে তুলনা করে এর নাম দেওয়া হয়েছে 'শিউলি'। শিউলি' নামটা শুনলেই প্রথমে মাথায় আসে একটি ছোট্ট শুভ্র ফুল। যা আমাদের খুব প্রিয়। সেই ভাবনা মাথায় রেখেই এখন শিউলি কেবলমাত্র একটি ছোট্ট ফুল নয়। বর্তমানে শিউলি সম্পূর্ণ ইকো ফ্রেন্ডলি ছোট একটি ব্র্যান্ড। কাজটিও শিউলির মতো ভালোবাসার। পরিবেশকে রক্ষা করে ফ্যাশনকে অন্য মাত্রায় দেওয়াই শিউলির মূল উদ্দেশ্য।
শিউলির প্রত্যেকটি পন্যের প্যাকেজিং হয় কাগজের ব্যাগ অথবা কাগজের মোরকে। এই অভিনব উদ্যোগে খুশি ক্রেতারাও। আগামীদিনে যাতে প্রত্যেকটি মেয়ে এরকম স্বনির্ভর হয়ে ওঠে আবেদন জানিয়েছে সুস্মিতারা। এবং প্রত্যেকটি ছোট ছোট ব্র্যান্ড পরিবেশ সম্পর্কে আরও সচেতন এবং স্বনির্ভর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এই গোষ্ঠী।
এ প্রসঙ্গে বলা যায়, চিনা পণ্য বর্জনের ডাকে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য তথা দেশ, তখন আত্মনির্ভর ভারতের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জীবনে ভালোবেসে কোনও কাজ করলে তাতে সফলতা আসবেই। প্রধানমন্ত্রী সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে বসেই স্বনির্ভরতার এমনই উদাহরণ দিলেন হাবরার মেয়ে সুস্মিতা। গত দুমাসে গড়ে ফেললেন একটি আস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠী।
বাংলায় লকডাউনের দিনবদল! নয়া বিজ্ঞপ্তিতে কবে কবে লকডাউন, জানাল নবান্ন