জ্ঞানবন্তের জায়গায় গোয়েন্দা প্রধান রাজশেখরণ, সরলেন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারও
গত কয়েকদিন আগেই জেলা পুলিশে ব্যাপক রদবদল করেন নবান্ন। বেশ কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়। মালদহ, বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবার, রানাঘাট, বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয় নবান্নের তরফে। শুধু তাই নয়, কলকাত
গত কয়েকদিন আগেই জেলা পুলিশে ব্যাপক রদবদল করেন নবান্ন। বেশ কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়। মালদহ, বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবার, রানাঘাট, বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয় নবান্নের তরফে। শুধু তাই নয়, কলকাতা পুলিশেরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে রদবদল করা হয়। বদল করা হয় বিধাননগর কমিশনারেটেও।
রাতারাতি হঠাত করে একাধিক জেলার পুলিশ সুপার বদলি নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়। যদিও নবান্নের তরফে এই বিষয়টিকে রুটিন বদলি বলেই দাবি করা হয়। আর এই বিতর্কের মধ্যেই ফের রদবদল।
তিন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের শীর্ষপদে রদবদল করা হয়েছে নবান্নের তরফে। আজ বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে নবান্নের রফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে সিআইডি, দুর্নীতি দমন শাখা (এসিবি), ইকনমিক অফেন্সেসে এহেন রদবদল করার কথা বলা হয়েছে। যেমন এডিজি সিআইডি পদে ছিলেন জ্ঞানবন্ত সিং। সেই পদে আনা হয়েছে আর রাজশেখরনকে।
এডিজি এসটিএফ পদই শুধু সামলাবেন জ্ঞানবন্ত। আগে দুটি পদই সমান ভাবে সামলাতেন। অন্যদিকে আর রাজশেখরন ছিল এডিজি এসিবি পদে। সেই জায়গাতে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মনোজকুমার বর্মাকে। বর্তমানে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে দীর্ঘদিন ধরে কমিশনার হিসাবে কাজ চালাচ্ছেন মনোজকুমার বর্মা। এবার তাঁর কাঁধেই বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।
পাশাপাশি ডিরেক্টরেট অব ইকনমিক অফেন্সেসের ডিরেক্টর পদেও রদবদল করা হয়েছে এদিন। এক্ষেত্রে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হল নটরাজন রমেশ বাবুকে। এর আগে জয়ন্ত বসু এই গুরু দায়িত্ব সামলে আসছিলেন। অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ এবং বিধাননগর কমিশনারেটেও ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। যেমন ট্রাফিক পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অরিজিৎ সিনহাকে বদলি করা হয়েছে।
তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর আগেই বদলি করা হল ঝাড়গ্রামের পুলিশ জেলার সুপারকে। বিশ্বজিত ঘোষকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের নতুন গোয়েন্দা প্রধান করে নিয়ে আসা হয়েছে। আর তাঁর জায়গা অর্থাৎ ঝাড়গ্রামের পুলিশ জেলার নতুন সুপার অরিজিত সিনহাকে।
সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে মাওবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি হয়েছে। এই অবস্থায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। শুধু তাই নয়, আগামী ১০ তারিখ ঝাড়গ্রাম সফরে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফরের আগে কেন সুপারকে সরানো হল তা নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠছে। যদিও এটি রুটিন বদলি বলেই দাবি নবান্নের। এর সঙ্গে কোনও বিতর্ক নেই বলেও দাবি করা হয়েছে।