ডেঙ্গু দমনে ভরসা গাপ্পি মাছেই, কলকাতা পুরসভা নিল বিশেষ উদ্যোগ
একদিকে করোনা আতঙ্কে প্রাণ ওষ্ঠাগত। তার উপর গত কয়েক সপ্তাহ বৃষ্টিতে উপদ্রব বাড়ছে ডেঙ্গু মশার।
একদিকে করোনা আতঙ্কে প্রাণ ওষ্ঠাগত। তার উপর গত কয়েক সপ্তাহ বৃষ্টিতে উপদ্রব বাড়ছে ডেঙ্গু মশার। তাই করোনার আবহে ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচতে মশারি টাঙানো, জমা জল পরিষ্কার করার পাশাপাশি গাপ্পি মাছেই ভরসা রাখতে হচ্ছে শহরবাসীর। ডেঙ্গি মোকাবিলায় এই মাছই হতে চলেছে কলকাতা পুরসভার হাতিয়ার।
ডেঙ্গি রুখতে শহরের সব নালা নর্দমায় গাপ্পি মাছ ছাড়ার কথা আগেই ঘোষনা করেছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক প্রধান ফিরহাদ হাকিম। সেই মতো ডেঙ্গু প্রতিরোধে পুরসভার প্রশাসনিক প্রধানের হাতে আড়াই লক্ষ গাপ্পি মাছের চারা তুলে দিয়েছেন বিদায়ী কাউন্সিলর বাপি ঘোষ। শুধু তাই নয় এদিন বাপিবাবু নিজের হাতে কলকাতার নালা নর্দমায় গাপ্পি মাছ ছাড়েন। তাঁর দেওয়া এই মাছ পৌছে যাবে শহরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে।
এদিন তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে বন্ধ দোকানপাট বন্ধ। অনেক মানুষ কিন্তু অসুবিধায় পড়েছেন। বন্ধ রয়েছে উত্তর কলকাতার বাগবাজারের সখের হাট বাজার। ফলে গত তিন মাস ধরে অভাবকে নিত্যসঙ্গী করে দিন চালিয়ে যাচ্ছেন গাপ্পি মাছ ব্যবসায়ীরা। লকডাউনের আগে থেকেই এই সমস্ত ব্যবসায়ীরা গাপ্পি মাছের চাষ করেছিল। এখনো অনেক গাপ্পি মাছ তাদের কাছে রয়েছে। তাই একদিকে তাদের কথা ভেবে অন্যদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য এই গাপ্পি মাছ কাজে লাগাতে। এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গাপ্পি মাছ গিলে নেয় মশার লার্ভা। বর্ষার সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার জন্য গাপ্পি মাছের বিকল্প কিছু নেই। তাই এই বিপুল পরিমানের গাপ্পি মাছ কলকাতা পুরসভার হাতে তুলে খুলে দেওয়া হয়। এবং কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে 144 টি ওয়ার্ডের সমস্ত জায়গায় সমান ভাবে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য পুরসভার প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বাঙালিরাই মাছ ভালোবাসেন খেতে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেই মাছই আমার ডেঙ্গু দমনের হাতিয়ার হবে বলে মনে করেন বাপি ঘোষ। মশা মারতে কামানের চেয়ে গাপ্পি মাছই বড় সমাধান বলে মনে করে তাই বাগবাজারের ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর বাপি ঘোষ কলকাতার সব ওয়ার্ডের কথা ভেবে খোদ মেয়রের হাতে তুলে দেন লাখ লাখ মশার লার্ভা খাওয়া এই মাছ। ১৪৪টি ওয়ার্ডের নালা, নর্দমা, সৌন্দর্যায়নের ঝরনা সমস্ত স্থানেই ছাড়া হবে এই মাছ।