ছাপ্পা'র অভিযোগ আবার কোথাও পড়ল ভুয়ো ভোট! জিটিএ নির্বাচনে নজর গুরুংয়ের
উপনির্বাচনেও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। কোথায় আবার ভোট পড়ে যাওয়ার অভিযোগ। আর এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। আজ রবিবার রাজ্যের উত্তর এবং দক্ষিণে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোট চলছে ঝালদা ও পানিহাটির ২ নিহত কাউন্সিলর তপন কান
উপনির্বাচনেও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। কোথায় আবার ভোট পড়ে যাওয়ার অভিযোগ। আর এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। আজ রবিবার রাজ্যের উত্তর এবং দক্ষিণে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোট চলছে ঝালদা ও পানিহাটির ২ নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দু ও অনুপম দত্তর ওয়ার্ডে।
এছাড়াও দমদম, দক্ষিণ দমদম, চন্দননগর ও ভাটপাড়ার একটি করে ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ চলছে। বেলা বাড়তেই বিভিন্ন অংশ থেকে অশান্তির খবর আসছে।
জানা যাচ্ছে, অর্জুন গড় বলে পরিচিত ভাটপাড়াতে ভোট চলছে। পুরসভার একটি ওয়ার্ডে ভোট চলছে। যদিও অর্জুন এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল যোগ দিয়েছেন। আর সেখানেই ছাপ্পা এবং বহিরাগতদের দাপাদাপির অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, ভাটপাড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল স্কুলের বুথে অবাধে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এদিন সকালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এমনকি এই বিষয়ে সরব হন বিরোধীরাও। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই চলছে ছাপ্পা।
যদিও এই বিষয়টি সামনে আসার পরেই সক্রিয় পুলিশ। বেশ কয়েকজন যুবককে বুথ কেন্দ্রের বাইরে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে দমদমের চার নম্বর ওয়ার্ডে ভোট চলছে। দীর্ঘদিন স্থগিত ছিল এই কেন্দ্রের নির্বাচন। আজ সেখানে ভোট হচ্ছে। আর সেখানে ভোটারের ভোট পড়ে যাওয়ার অভিযোগ।
দাবি, সকালে ভোট এসে দেখেন ভোট পড়ে গিয়েছে। আর তা নিয়েই উত্তেজনা ছড়ায়। ভোট কর্মীরা ওই ভোটারকে টেন্ডার ভোট দিতে বললে আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে একাধিক বুথে এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপি এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসছে। অন্যদিকে উত্তরের ভোটেও চড়ছে উত্তেজনা। দীর্ঘ ১০ বছর পর পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হচ্ছে। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা। সেই মতো সকাল থেকেই উত্তেজনা রয়েছে। ইতিমধ্যে ভোট অংশ নেয়নি বিজেপি, মোর্চা সহ বেশ কয়েকটি দল। জানা যাচ্ছে, এবার ভোট না দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং।
ররিবার সকালেই পাহাড়ে তাঁর অফিসে পৌঁছে গিয়েছেন গুরুং। আর সেখান থেকেই গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। বলে রাখা প্রয়োজন, জিটিএ ভোট বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার অনশন চালিয়েছেন গুরুং। শেষমেশ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। এই অবস্থায় ভোট হচ্ছে। ফলে পাহাড়ের ভোটের দিকে নজর সব পক্ষের।