জিটিএ ভোটের তোড়জোড় শুরু, নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি
জিটিএ ভোটের তোড়জোড় শুরু, নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি
২৬ জুন ভোট। আগেই জিটিএ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল, এবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে জিটিএ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল। ৩ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। এদিকে জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতায় পাহাড়ে অনশনে বসেছেন বিমল গুরুং। তাঁকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপিও।
জিটিএ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি
অনেক বিরোধিতার পরও অবশেষে জারি হল বিজ্ঞপ্তি। ২৬ জুন জিটিএ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছ। তার আগে আজ অর্থাৎ শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। ৩ তারিখ মনোনয়ন জমার শেষ দিন। ৬ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় দেওয়া হয়েছে। চার জুন পর্যন্ত মনোনয়নের খুঁটি নাটি খতিয়ে দেখা হবে। ২৬ জুন ভোট গ্রহন। ২৯ জুন ফলাফল প্রকাশ। সকাল ৭টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহন। মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরের সময়ই জিটিএ নির্বাচন নিয়ে তোরজোর শুরু হয়েছিল।
বিরোধিতার পরেও নির্বাচনের দিন ঘোষণা
জিটিএ নির্বাচনে আপত্তি জানিয়েছিল একাধিক রাজনৈিতক দল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করতে তৎপর হয়ে উঠেছিলেন। শেষে আপত্তি উপেক্ষা করেই রাজ্যর স্বরাষ্ট্রসচিব পাহাড়ে গিয়েছিলেন। ছিলেন স্বরাষ্ট্র দফতরের আরও বেশ কয়েকজন আধিকারীক। তাঁরা কািলম্পং এবং দার্জিলিং-এ বৈঠক করেন। দার্জিলিঙের জেলাশাসক তার আগে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তারপরেই জিটিএ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়।
অনশনে গুরুং
জিটিএ ভোটের বিরোধিতা প্রথম েথকেই করে আসছেন বিমল গুরুং। তিনি প্রবল আপত্তি জানিয়ে দার্জিিলঙের পাতলেবাসে নিজের দলীয় কার্যালয়ের বাইরে অনশন শুরু করেছেন। জিটিএ নির্বাচন নন পাহাড়ের স্বায়ত্ব শাসন দাবি করেছেন তিনি। এদিকে গুরুংয়ের এই অনশনকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপিও। লোকসভা ভোটের আগে গুরুংয়ের প্রতি বিজেপির নমনীয় মনোভাব নিয়ে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে। একুশের ভোেটর আগে টিমসিক সমর্থন জানিয়েই পাহাড়ে ফিরেছিলেন গুরুং। ফের সরকার বিরোধিতাকে মমতা কতটা মেনে নেমেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিরোধিতায় বিজেপি
পাহাড়ে জিটিএ ভোটের বিরোধিতা করেছে বিজেপিও। দার্জিিলংয়ের সংসদ রাজু বিস্ত জানিয়েছেন জিটিএ ভোট কর কোনও লাভ হবে না পাহাড়বাসীর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উত্তরবঙ্গেকে আলাদা রাজ্য করার দাবি জানিয়েছে বিজেপি। উত্তর বঙ্গের একাধিক বিজেপি নেতা উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবিতে সরব হয়েছেন কুশের ভোটের পর থেকেই। উত্তরবঙ্গে অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে তাঁরা রাজ্য ভাগ করতে চাইছে। এই নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছে শাসক দল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পাহাড়ে বিজেপির ভোট অনেকটাই কমেছে।