মমতার দলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব'-এ পুড়ল মন্ত্রীর ছবি! জুটল জুতোর মালাও
জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচনকে ঘিরে গণ্ডগোল। আর তার জেরেই উত্তপ্ত কোচবিহার।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচনকে ঘিরে গণ্ডগোল। আর তার জেরেই উত্তপ্ত কোচবিহার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব এমন জায়গায় পৌঁছয় যাতে জেলার প্রভাবশালী দুই তৃণমূল নেতার ছবিতে জুতোর মালা পড়ানো হয়। এক নেতার ছবি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই কোচবিহারে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলছে। সুযোগ পেলেই একপক্ষ অন্যপক্ষের ওপর আঘাত হানছে। মুখ্যমন্ত্রী যুব তৃণমূলকে তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিলেও, কোথাও যেন দ্বন্দ্ব রয়েই গিয়েছে। দ্বন্দ্ব এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচনকে ঘিরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, জেলার তৃণমূল নেতা জলিল আহমেদ চেয়েছিলেন তাঁর পছন্দের নেতাই বসুন সভাপতির আসনে। যদি শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। সভাধিপতির আসনে বসানো হয় উমাকান্ত বর্মনকে। এরপরেই নিজেদের স্বমূর্তি ধারণ করে জলিল আহমেদ গোষ্ঠী।
[আরও পড়ুন:১০৩৬ কোটি টাকার লগ্নি জঙ্গলমহলে! মমতার পরামর্শ মেনে সাফল্য সম্মেলনের আগেই]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উমাকান্ত বর্মনকে সভাধিপতির আসনে বসানোর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ-র ছবিতে জুতোর মালা দেওয়া হয়। এছাড়াও বনমন্ত্রী বিনয় বর্মনের ছবিতে আগুন দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: মমতাকে 'পরামর্শ' মোদী-রাজ্যের বিধায়কের, লোকসভায় নয়া জোট-সমীকরণের বার্তা]
তৃণমূলের এক অংশের বিস্ফোরক দাবি, দলকে ধ্বংস করতেই তৃণমূলে গিয়েছেন উদয়ন গুহ। এই কথাওও নাকি লিখে দেওয়া হয় উদয়ন গুহর ছবিতে।
[আরও পড়ুন: সুপারিকিলার আমদানি করে বিজেপি! মোদীর 'সব কা বিকাশে'র স্লোগান-কটাক্ষে শুভেন্দু]