গ্রেটার কোচবিহারের সমর্থককে পুড়িয়ে খুন, গ্রেফতার ৩ তৃণমূল নেতা
মহিলার ঘর থেকে আর্ত চিৎকার শুনে পান প্রতিবেশীরা। তাঁরা ছুটে এসে দেখেন, ঘরের ভিতরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আগুন জ্বলছে ওই মহিলার শরীর।
কোচবিহার, ২২ ডিসেম্বর : গ্রেটার কোচবিহারের সমর্থক যমুনা রায়কে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তিন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ব্লক সভাপতি রত্নেশ্বর রায়-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য দুই তৃণমূল নেতা হলেন গণেশ রায় ও প্রাণকৃষ্ণ লস্কর।
তৃণমূল নেতার বাড়ির উঠোনে গ্রেটার কোচবিহারের সমর্থকের পোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছিল। গ্রেটার কোচবিহারের সমর্থক হওয়ায় কারণেই তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা ও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ দীর্ঘদিন একঘরে করে রাখা হয়েছিল মৃত যমুনা রায়ের পরিবারকে। জমি-জায়গা বিক্রি করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছিল। শুধু তিনি নন, গ্রেটার কোচবিহারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একই দাওয়াই লাগু করেছিল তৃণমূল। এই অভিযোগেই ব্লক সভাপতি রত্নেশ্বর রায়কে গ্রেফতারের পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগে কার্যত সিলমোহর পড়ল।
উল্লেখ্য, কোচবিহার তৃণমূলের নেতা রত্নেশ্বর রায়ের বাড়ির উঠোন থেকে যমুনা রায় নামে ওই মহিলা জীবন্ত দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। কোচবিহারের পানিশালায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দগ্ধ অবস্থায় যমুনাদেবীর দেহ উদ্ধারের পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। রহস্যজনক এই মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, তৃণমূল নেতা রত্নেশ্বর রায়-সহ চারজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হল তিনজন।