সাট্টা ব্যবসায় খেয়োখেয়ি, মধ্যস্থতায় সাট্টা ডনের চিঠি মান্নানকে
এলাকায় সাট্টার ঠেক চালানোর অনুমতির দাবি করে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে চিঠি। চিঠি দিয়েছেন শেওড়াফুলির এক এজেন্ট। চিঠি পেয়েই ক্ষুব্ধ মান্নান জানান চন্দননগর কমিশনারেটে। গ্রেফতার অভিযুক্ত।
এলাকায় সাট্টার ঠেক চালানোর অনুমতির দাবি করে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে চিঠি। চিঠি দিয়েছেন শেওড়াফুলির এক সাট্টার এজেন্ট। চিঠি পেয়েই ক্ষুব্ধ মান্নান জানান চন্দননগর কমিশনারেটে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এলাকার নানা কাজে স্থানীয়রা যান বিধায়কের কাছে। এলাকার উন্নয়নের দাবির সঙ্গে নানা রকমের আব্দারও থাকে। যতটুকু মেটানো সম্ভব তা মিটিয়েও দেন বিধায়করা। রাজ্যের এক বিধায়ক, তাঁকে বিধায়ক বললে ভুল হবে, বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কাছেই আজব দাবি মেটানোর চিঠি।
শেওড়াফুলি আউটপোস্টের সাট্টার ডন নাসিব আলি এই চিঠি পাঠিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের কাছে। চিঠি পাঠানো হয়েছিল চন্দননগর কমিশনারেটেও। চিঠিতে নাসিব আলি লিখেছে, সে শেওড়াফুলি আউটপোস্টের এজেন্ট। তার অধীনে ৬ জন কাজ করে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এলাকারই সঞ্জীব ভগৎ নামে এক ডন তার সাট্টার ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করে নাসিব আলি। ফের কাজ শুরু করতে রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও চিঠিতে জানায় নাসিব। তার দাবি, রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শেওড়াফুলি এলাকায় সঞ্জীব ভগৎ ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে পারবে না। আব্দুল মান্নান ও চন্দননগর কমিশনারেটে দেওয়া চিঠিতে তাকে শেওড়াফুলিতে ব্যবসা চালাতে সাহায্য করার আবেদন করে নাসিব। একইসঙ্গে এলাকায় সঞ্জীব ভগতের ব্যবসা বন্ধেরও আবেদন জানায় সে।
চিঠি পাওয়ার পর ক্ষিপ্ত বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান কথা বলেন চন্দননগর কমিশনারেটে। তিনি বলেন, মানুষের ভয় বলে কিছু নেই। ফলে বিরোধী দলনেতার কাছেও সাট্টার অনুমতি দাবি করে চিঠি আসছে। বিষয়টি নিয়ে শাসকদলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আব্দুল মান্নান। অভিযুক্ত নাসিব আলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চন্দননগর কমিশনারেট।