বঞ্চিত গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা, প্রতিবাদে ঘেরাও কর্মসূচি পালন
বঞ্চিত করা হচ্ছে গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের। এই অভিযোগে সোমবার পঞ্চায়েত দপ্তরের ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন কয়েকশো গ্রামীন সম্পদ কর্মী।

এদিন একাধিক দাবিতে সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সম্পদ কর্মীরা জড়ো হয় পঞ্চায়েত দপ্তর সংলগ্ন এলাকাতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মী পঞ্চায়েত দপ্তর ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভ করেন।
তাদের দাবি, ২০১৬ সালে নিয়োজিত ভিআরপিরা অন্যান্য কর্মচারীদের তুলনায় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা। রাজ্যে প্রায় ২৫ হাজার ৪০ জন ভিআরপি সোশ্যাল অডিটের পাশাপাশি ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে কাজ করেন। বিডিও অফিস দ্বারা নির্দেশিত প্রায় দশ বারোটি প্রকল্পে তারা হাত লাগান। কিন্তু প্রতিদিনের মজুরি ১৭৫ টাকা। যা পরীক্ষা পদ্ধতি মেনে নিয়োগ পাওয়া ভিআরপিদের চরম অবহেলা ও অপমানের সামিল বলে অভিযোগ সম্পদ কর্মী হরিসাধন দাস, শামীমা আসমান, শেখ রাজু আলী, সুজা উদ্দিন আহমেদ, অমিত সরকার, পূর্ণেন্দু বন্দোপাধ্যায়দের। সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করে এলেও নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি মত দাবি পূরণ হয়নি। ত্রিপুরা মেঘালয় সহ অন্যান্য রাজ্যে সামাজিক নিরীক্ষা সহ কনকারেন্ট সোশ্যাল অডিট চালু হলেও এ রাজ্যে চালু হয়নি বলেও তাদের অভিযোগ।
ভিআরপিরা যেহেতু সামাজিক নিরীক্ষার ওপরে নিয়োজিত হয়েছেন তাই তাদের দ্বারা সমস্ত সামাজিক নিরীক্ষা কাজ করানোর জন্য জোরালো দাবি তোলন তারা। এক্ষেত্রে সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে মানবিক, স্বচ্ছ ও সৃজনশীল আখ্যায়িত করে তাদের দাবিকে সামনে রেখে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন।
তাদের নেতা মিজানুর রহমান আরও জানান, পূর্বনির্ধারিত পঞ্চায়েত দপ্তর অভিযান কয়েকটা দাবিকে সামনে রেখে তারা আজকে পথে নেমেছে। সরকারি কর্মচারী স্বীকৃতি, ৬২ বছরের কর্ম নিশ্চয়তা ও নিয়মিত সোশ্যাল অডিট এর দাবিতে তারা সামাজিক নিরীক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কে স্মারকলিপি জমা দেন।