অধীর গড়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগ! সরকারিকর্মীর 'হাতে' পুলিশ, নেতা
বহরমপুর শহরে প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগ সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত এই সরকারিকর্মীর নাম মনতোষ চক্রবর্তী। অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় সরকারি ডাক ও তার বিভাগের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। তবে বছর কয়েক আগে তার বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠায় তিনি সাসপেনশনে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বহরমপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় দেব ব্যবসা চালানোর অভিযোগ
গত আট থেকে নয় বছর বহরমপুর শহরে প্রশাসনের নাকের ডগায় দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন মনতোষ চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি। বহরমপুর শহরে বাড়ি ও ফ্ল্যাটভাড়া নিয়ে চলে এই কাজ। তবে তিনি কখনও একটি জায়গায় তিনমাসের বেশি বাড়ি ভাড়া নেন না। নিজের দলেরই কাউকে স্বামী-স্ত্রী সাজিয়ে এই বাড়ি ভাষা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফোন করলেই হোয়াটস অ্যাপে ছবি পাঠাতে শুরু করেন। আর পছন্দ হলে, এক ঘন্টায় ৩ হাজার টাকা। রাত কাটালে আট থেকে ১০ হাজার টাকা। তবে তিন হাজারের মধ্যে মনতোষ পায় ২৩০০ টাকার মতো।
অভিযুক্ত মনতোষ চক্রবর্তীর দাবি শুধু বহরমপুর শহরেই নয়, রাজ্যের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে তার ব্যবসা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মনতোষের ব্যবসা মূলত শহরের ইন্দ্রপ্রস্থ, রানিবাগান, লালবাগ এবং খাগড়ায় বিস্তৃত। তার দলের অপর একজন ব্যবসা করেন গোড়াবাজার, সতীর মাঠ, ভাকুরিতে। কোন দিন কারও লোক কম পড়লে একে অপরকে সাহায্য করে থাকেন বলেও দাবি করেছেন ওই মনতোষ। মনতোষের দাবি স্থানীয় প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক নেতা, সবই রয়েছে তার হাতে।
প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি ফল
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার। তাঁদের দাবি ফোনেই জানিয়েছেন প্রশাসনকে। যদিও তাতে কোনও ফল মেলেনি বলেও দাবি।
কর্মক্ষেত্রে মনতোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ
বহরমপুর হেড পোস্টঅফিস সূত্রে খবর, বেলডাঙার আন্দুলবেরিয়া কলোনির বাসিন্দার কর্মস্থল বেলডাঙারই দুধসর অঞ্চলে। কিন্তু টাকা তছরুপের অভিযোগ থাকায় গত প্রায় ৪ বছর ধরে সাসপেন্ড হয়ে রয়েছেন তিনি। তবে বহরমপুর শহরে থানা থেকে ১ কিমি দূরে তার এই কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।