কোয়ারেন্টাইন নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাংলার ১৫টি জায়গায় বিক্ষোভ
কোয়ারেন্টাইন নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাংলার ১৫টি জায়গায় বিক্ষোভ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের রাজ্যে ফিরতে পারেননি। কিন্তু লকডাউন শিথিল হতেই তাঁরা কেন্দ্রের বিশেষ ট্রেনে করে নিজ নিজ রাজ্যে ফিরতে শুরু করে দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যে করোনা রোধে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়েছে যে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু এই পাঁচ রাজ্য থেকে ফেরত আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। কারণ এই পাঁচ রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে কোভিডের। সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ১৫টি জায়গায় এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
অনেক
জায়গাতেই
স্থানীয়রা
প্রতিবাদ
করে
প্রশাসনকে
বাধ্য
করছে
কোয়ারেন্টাইন
কেন্দ্র
হিসাবে
শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের
ভবনগুলিকে
ব্যবহার
করা
হোক।
কারণ
এই
হট–স্পট
পাঁচটি
রাজ্য
থেকে
ফেরা
শ্রমিকদের
বাস
স্ট্যান্ড,
শ্মশান
ও
খোলা
মাঠে
অস্থায়ী
তাঁবু
করে
রাখা
হচ্ছে।
এর
আগে
পশ্চিমবঙ্গের
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘোষণা
করেছিলেন
যে
করোনা
প্রভাবির
রাজ্য
থেকে
ফেরার
পর
সকলকে
১৪দিন
সরকারি
কোয়ারেন্টাইনে
রাখা
হবে
এবং
অন্য
রাজ্য
থেকে
ফেরা
পরিযায়ী
শ্রমিক
বা
যাদের
শরীরে
হাল্কা
উপসর্গ
রয়েছে
তাঁদের
দু’হপ্তার
জন্য
বাড়িতে
কোয়ারেন্টাইনে
থাকতে
হবে।
স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে সরকারিভাবে বলা হয়েছে, 'লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী বাংলায় ফিরেছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আমাদের পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে যে অন্য রাজ্য থেকে আটকে পড়া ১৭ লক্ষ মানুষ ফিরে এসেছে। ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ পাঁচটি হট–স্পট রাজ্যে আটকে ছিলেন তাঁরা বাংলায় ফিরেছেন। যেহেতু তাঁদের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তাই স্কুল ও কলেজগুলিকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা ছাড়া বিকল্প নেই।’ সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, ৫ লক্ষের বেশি পরিযায়ী বাংলায় অন্য রাজ্য থেকে ফিরে এসেছে।
দেশের করোনা সংকটে পথ দেখাবে টেলিমেডিসিন, আশা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর