যাদবপুরের উপাচার্যকে সতর্ক করলেন রাজ্যপাল, তবু অনশনে অনড় ছাত্রছাত্রীরা
কলকাতা, ১০ জানুয়ারি : যাদবপুর কাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির জেরে। অথচ সেউ শ্লীলতাহানি কান্ডে পদক্ষেপ নিতে এত বিলম্ব কেন? এই প্রশ্ন তুলেই এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে সতর্ক করলেন রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠী। অবিলম্বে এবিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে যাদবপুরে অনশনরত ছাত্রদের শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে
উল্লেখ্য বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অনুষ্ঠানে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠনে গা ছাড়া মনোভাব দেখানোয় উপাচার্যের পদত্যাগের দাবীতে সরব হয় ছাত্রছাত্রীরা। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে নিরস্ত্র অবস্থানরত ছাত্রছাত্রীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সেখান থেকেই এই আন্দোলন ক্রমেই বৃহত্তর আন্দোলনে পরিণত হয়। বাংলার চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে হোক কলরব-এর ডাক।
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি ক্রমশ জোরালো হয়। এমনকী সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও রাজ্যপালের হাত থেকে সংশাপত্র নিতে অস্বীকার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রাঙ্গণেই অনশনে বসে ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশ। এই আন্দোলনে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির বিষয়টি কোথাও চাপা পড়ে গিয়েছিল।
তবে এদিন রাজ্যপাল সেই বিষয়টি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে মনে করিয়ে দেন উপাচার্যকে। শীঘ্রই যাতে অভিযুক্তদের চিহ্নত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয় তার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যদিও রাজ্যপলের এই সতর্কবার্তাতে মন ভোলানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন অনশনরত ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, "এই রাজ্যপালই উপাচার্যকে স্থায়ী করেছিলেন। করার আগে চিন্তাভাবনা করা উচিত ছিল। শুধু সতর্কবার্তা এই সমস্যার সমাধান নয়। তাই সতর্কবার্তা সত্ত্বেও উঠবে না অনশন। যতক্ষন না উপাচার্যের পদত্যাগের সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। অনশন যেমন চলছে তেমনই চলবে।"
এদিকে আজ শনিবার যাদবপুরের অনশনরত দুই ছাত্রকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে প্রতিবাদ জানান।