রাজ্যপাল ‘রাবার স্ট্যাম্প’ নন বা ‘ডাকঘর’ নন, বিলে সই-বিতর্কে টুইটারে সংঘাত জারি
রাজ্যপাল বিলে স্বাক্ষর না করায় মুলতুবি হয়ে গিয়েছে রাজ্য বিধানসভা। আর এই নজিরবিহীন ঘটনার জন্য আঙুল তোলা হয়েছে রাজ্যপালের দিকে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ফের গর্জে উঠলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
রাজ্যপাল
বিলে
স্বাক্ষর
না
করায়
মুলতুবি
হয়ে
গিয়েছে
রাজ্য
বিধানসভা।
আর
এই
নজিরবিহীন
ঘটনার
জন্য
আঙুল
তোলা
হয়েছে
রাজ্যপালের
দিকে।
তার
পরিপ্রেক্ষিতে
ফের
গর্জে
উঠলেন
রাজ্যপাল
জগদীপ
ধনখড়।
রাজ্যপাল
বলেন,
তিনি
কোনও
'রাবার
স্ট্যাম্প'
নন
বা
কোনও
'ডাকঘর'
নন।
স্ক্রুটনি
না
করে
তিনি
সই
করবেন
না।
মঙ্গলবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা মুলতুবি করে দেন। রাজ্যপালের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বিধানসভা মুলতুবির সিদ্ধান্ত নেন খোদ অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, রাজ্যপাল সই করছেন না, তাই কোনও আলোচ্য বিষয় নেই। সেই কারণেই বিধানসভা মুলতুবি করে দেওয়া হল।
As Governor I follow the script and tune of the Constitution and cannot blindly take a call. I am neither a rubber-stamp nor a post office. I am obligated to scrutinise the bills in the light of the Constitution and act without delay. Concerned at delay by government on this.
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 4, 2019
এদিন রাজভবন কর্তৃক ওই দাবিকে খণ্ডন করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে জাননো হয়েছে ওই দাবি মূল্যহীন। রাজ্যপাল টুইট করে ওই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তিনি লেখেন-"গভর্নর হিসাবে আমি সংবিধানের স্ক্রিপ্ট অনুসরণ করি এবং সেইমতো অন্ধভাবে কোনও সই করে দিতে পারি না। আমি রবার স্ট্যাম্প বা পোস্ট অফিসও নই।"
তিনি আরও বলেন, "আমি সংবিধানের আলোকে বিলগুলি যাচাই-বাছাই করেছি। এই বিলে আরও কিছু নথি ও প্রমাণ দরকার। তা না পেয়েই আমি বাধ্য হয়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছি। বলা যায় আমি নিতে বাধ্য হয়েছি।" সরকার বিলম্বের কারণে তিনি উদ্বিগ্ন বলেও মন্তব্য করেন।
এদিকে বুধ ও বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশন মুতুবি রাখা হয়েছে। ফের শুক্রবার অধিবেশন বসবে। ওইদিন ফের রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতে সরগরম হয়ে উঠবে বিধানসভা। সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে কোনও বিল পেশের আগে রাজ্যপালের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক। তৃণমূলের দাবি, রাজভবনে বিল আটকে থাকায় বাধা পাচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। এদিন ফের রাজ্যপাল পদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল শাসক দল।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আওয়াজ, চিনের বেলায় চুপ! কেন হাত গুটিয়ে বসে, প্রশ্ন অধীরের